পঞ্চগড়: নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানের (৩২) চার দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছেন আদালত।
পঞ্চগড়ে ইজিবাইকচালক আল আমিনকে গুম ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সোমবার (৩ মার্চ) সকালে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ হাসানের আদালতে তোলা হয়।
এর আগে ২৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) নীলফামারী সদর উপজেলার ধনীপাড়া এলাকা থেকে র্যাব-১৩ এর সহায়তায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) আদালতে তোলা হলে পঞ্চগড়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ আকতার জুলিয়েট তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসময় শুনানিতে নোমানের আইনজীবি জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেন। পরে আদালত ৩ মার্চ দুপুর ১২টা থেকে আগামী ৭ মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৯৬ ঘণ্টার অর্থাৎ চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে নোমানের বিরুদ্ধে গুম ও হত্যা সহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও থানা পুলিশ জানিয়েছে।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইজিবাইকচালক আলম আমিনকে হত্যার পর গুম করার মামলায় গত ২০২৪ সালের ১০ নভেম্বর আল আমিনের বাবা মনু মিয়া ১৯ জনের নামোল্লেখ ও ১৫০ জন অজ্ঞাতপরিচয় উল্লেখ করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়। অপর আসামিরা হলেন, পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন, পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা, একই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম পল্লব, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসান, সাধারণ সম্পাদক সাদমান সাদিক প্লাবন পাটোয়ারী, পঞ্চগড় পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম, হাসনাত মো. হামিদুর রহমান, পঞ্চগড় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আল তারিক, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির উজ্জ্বলসহ ১৯ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে এখন পর্যন্ত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু নোমান হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘন্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এএটি