ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

রেস্তোরাঁয় অভিযানে গ্রেপ্তার শ্রমিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
রেস্তোরাঁয় অভিযানে গ্রেপ্তার শ্রমিকের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট 

ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় অভিযান পরিচালনা করে যেসব শ্রমিক ও কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম ও সংখ্যা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।  

সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

 

রুলে রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযানের সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থান হতে শ্রমিকদের গ্রেপ্তার কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।  

স্বরাষ্ট্র সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও রাজউক চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনে আগুনে ৪৬ জন নিহত হন।

এরপর সরকারের বিভিন্ন সংস্থা রাজধানীর অননুমোদিত রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এ অভিযানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁর শ্রমিক-কর্মীদের গ্রেপ্তারের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান ও ফাতেমা এস চৌধুরী এ রিটটি করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

পরে আইনজীবী মাসুদ আর সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে যারা ভাগ্যের অন্বেষণে ঢাকায় এসেছে রেস্তোরাঁয় কাজ করতে, এরকম প্রায় আটশ’ শ্রমিক, যাদের গ্রেপ্তার করে ক্রিমিনাল বানিয়ে অন্য ক্রিমিনালদের সঙ্গে রেখে দিলো (জেল খানায়)। আমি জনস্বার্থে মামলা করে বলেছি, এদের হিউম্যান রাইটস ভায়োলেশন হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের নাম এবং সংখ্যা এক মাসের মধ্যে জমা দিতে।

তিনি বলেন, তারা (শ্রমিক) এখানে এসেছে কাজ করতে। তাদের বসরা (মালিক) ফ্রি ঘুরছেন। গণমাধ্যমে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রিট করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।