ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আদালত বললেন, ‘এই টাকা হজম করতে দেব না’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
আদালত বললেন, ‘এই টাকা হজম করতে দেব না’ মামলার আট আসামি

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের ছিনতাইয়ের টাকা হজম করতে দেওয়া হবে না- এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে এই মামলার আট আসামির রিমান্ড শুনানিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে এমন হুঁশিয়ারি দেন।

 

এদিন ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেফতার আটজনকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ হাজির করা হয়। দুপুরে প্রথমে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর জোনাল টিমের পরিদর্শক সাজু মিয়ার বক্তব্য শোনেন।  

এরপর ঘটনার বিষয়ে আসামিদের কাছে জানতে চান। প্রথমে জব্দকৃত গাড়ির চালক আকাশকে বিচারক জিজ্ঞেস করেন, ওখানে টাকা কত ছিল? আকাশ জবাবে বলেন, আমি অন্য গাড়িতে ছিলাম। টাকা কত ছিল জানি না।

এরপর আসামি সানোয়ার বলেন, গাড়িতে চারটা ট্রাঙ্ক ছিল। দুইটা ভাংতি আর দুইটা ইনটেক ছিল। ড্রাইভারের সিটের নিচে একটাতে এক কোটি সাত লাখ টাকা ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ (একই নামে অপর আসামি), রানা ও হাবিব। তারা আমাদের ডলার সংগ্রহের কথা বলে নিয়ে আসে।  

এ সময় এক কোটি ১৪ লাখ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন সানোয়ার।

এদিকে গাড়ির সিটের নিচের টাকার বিষয়ে চালক আকাশ বলেন, একটা ব্যাগ ছিল, খুলে দেখি টাকা। হাইজ্যাক হয়েছে। বিচার হবে এ কথা ভেবে টাকা সরিয়ে রাখি। পরে তুরাগ থানায় দিয়েছি।

মামলার রিমান্ড আবেদনে ছয় কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হলেও জব্দ তালিকায় দেখানো হয় দুই কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

তখন বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চান বাকি টাকা কোথায়? তদন্ত কর্মকর্তা এ বিষয়ে যথাযথ উত্তর দিতে পারেননি।  

তখন বিচারক বলেন, আপনারা যে কথা বলছেন, তা গাঁজাখোরের কথা। আজ দুই কোটি টাকা নিয়ে এসেছেন। বাকি নয় কোটি টাকা গেল কোথায়? আরেকটি জব্দ তালিকা করে বাকি টাকা কোথায় আছে, নিয়ে আসুন।

তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, টাকা উদ্ধারে অভিযান চলছে।

এরপর বিচারক বলেন, এ টাকা হজম করতে দেব না।  

এরপর বিচারক রিমান্ড আবেদনের আদেশ অপেক্ষমাণ রেখে এজলাস থেকে খাসকামরায় যান।

পরে আদালত একে একে আকাশ, সানোয়ার ও ইমনকে খাসকামরায় ডেকে নিয়ে বক্তব্য শুনে আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
কেআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।