ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়

ঢাকা: গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ সেশনে প্রথম বর্ষ (সম্মান) ভর্তিতে মাইগ্রেশন ষষ্ঠ ও ৭ম পর্বে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

তিন ভর্তিচ্ছুর করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলসহ আদেশ দেন।

আদেশে রিট আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন আদালত। এর ফলে তারা মাইগ্রেশন করে ভর্তি হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

১০ দিনের মধ্যে শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্য এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও গুচ্ছ ভর্তি কমিটির সদস্য সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার চিনাকান্দির রুবেল মিয়া, নারায়ণগঞ্জ সদরের কুতুবপুরের সাকিব আহমেদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরবের আলভী নামে তিন শিক্ষার্থী গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে মাইগ্রেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন।

রিট আবেদনে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে একের পর এক নতুন সিদ্ধান্তে পিষ্ঠ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। সেশনজট এড়াতে যেভাবে তড়িঘড়ি করে ভর্তি পরীক্ষা এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছিল তার ফল তো পেলোই না শিক্ষার্থীরা, বরং ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও ভর্তি প্রক্রিয়াই এখনো শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। উল্টো এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এতে চরম বিপাকে শিক্ষার্থীরা।

গত ২০ আগস্ট পরীক্ষার কার্যক্রম সম্পন্ন হলেও গুচ্ছ কর্তৃপক্ষ ওয়েবসাইট আপডেট করার নামে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে রাখে প্রায় দুই মাস। এরপর নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয় ভর্তি কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত ছয়টি মেধা তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন চালু থাকলেও সপ্তম মেধা তালিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ৫৫ এর বেশি নাম্বার পাওয়া শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশনের সুবিধা নিতে পারছেন না। যেহেতু একজন শিক্ষার্থী একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাচ্ছিল, এখন মাইগ্রেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। উপরের সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও তারা এখন আর সেখানে ভর্তি হতে পারবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
ইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।