ঢাকা: মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত দুই সহস্রাধিক।
সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে রিখটার স্কেলে সাড়ে সাত মাত্রার এ শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ঘটনায় নিহতদের অন্তত ২৬৭ জনই পাকিস্তানের।

পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দেশটির পার্বত্য ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভূমিকম্পের প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি। সেসব স্থানে উদ্ধারকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়ায়। এই প্রদেশে মৃতের সংখ্যা ২২০ জন।
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ১০ হাজারেরও বেশি বাড়িঘর আংশিক বা পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে ১৪৭টি স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের ফলে সরকারের সঙ্গে সাময়িক সময়ের জন্য হলেও মিত্রতা স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে তালেবান নেটওয়ার্ক। উদ্ধারকর্মীদের সঙ্গে তারাও ত্রাণ সরবরাহ ও হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করছে।
তালেবান নেটওয়ার্কের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, শীর্ষ নেতৃত্ব ভূমিকম্পে হতাহতদের সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে, পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে কারাকোরাম পর্বতের বেশকিছু হিমবাহে ফাটল ধরেছে, যা বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে এ ফাটলের ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
এদিকে, ভূমিকম্প আঘাত হানা মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার অনেক অঞ্চলেই নতুন কম্পনের আশঙ্কায় বাড়ির বাইরে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন অনেকে।

আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশে পুলিশ প্রধান আব্দুল হাবিব সৈয়দ খিল জানিয়েছেন, খাবার ও অন্যান্য সহায়তার বিষয়ে আপাতত চিন্তার কিছু নেই। যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে আমাদের। চিন্তার মূল বিষয় হলো, মানুষ বাড়ির বাইরে রাত কাটাচ্ছে। কিন্তু চারদিন ধরে বৃষ্টিও হচ্ছে, যার কারণে আবহাওয়া খুবই শীতল।
বাংলাদেশ সময়: ১০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫/আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা
আরএইচ