ইয়েমেনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা ইসরায়েলের নেভাটিম বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ হামলা চালানো হয়।
এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, প্যালেস্টাইন-টু নামের ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত করেছে।
তিনি সাফ জানিয়ে দেন, গাজা উপত্যকায় নৃশংস আগ্রাসন বন্ধ না করা হলে ইয়েমেনি সশস্ত্র যোদ্ধারা আগামী কয়েক ঘণ্টা এবং আগামী কয়েক দিনে ইসরায়েলের দখল করা ভূখণ্ডে তাদের আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেবে।
তিনি বলেন, গাজাবাসীদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সরকারের অন্যায় অপরাধের মুখে ইয়েমেনের জনগণ, তাদের নেতা ও যোদ্ধারা চুপ করে থাকবে না। হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনের নির্যাতিতদের সুরক্ষা এবং তাদের সমর্থনে হুতি বিদ্রোহীরা তাদের সব ক্ষমতা ও সম্পদ উৎসর্গ করার অঙ্গীকার করছে।
ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ না হওয়া, গাজায় অবরোধ তুলে নেওয়া এবং মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়া পর্যন্ত লোহিত সাগর দিয়ে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল আটকাতে হুতিরা আবারো তাদের অঙ্গীকার জানিয়েছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের হামলা মোকাবিলাও অব্যাহত থাকবে।
হুতি বাহিনী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের দিকে ওই হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। তখন সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটের দিকে উত্তর আল-নাকাব এলাকাজুড়ে রকেট সাইরেন বেজে ওঠে। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অবশ্য দাবি করে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলি আকাশসীমায় প্রবেশের আগেই নাকি তারা তা ধ্বংস করতে পেরেছে।
ইয়েমেনের আনসার আল্লাহ আন্দোলনের নেতা আব্দুল-মালিক আল-হুতি ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় সরাসরি ফিলিস্তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, তারা একা নয়। তিনি ঘোষণা করেন, লড়াই কেবলমাত্র দখলদার ইসরায়েলের ঘটানো অত্যাচার, অপরাধ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই নির্ধারিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, হুতি সশস্ত্র বাহিনী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সর্বোচ্চ স্তরের অভিযান আবারও শুরু করবে।
সাইয়্যেদ আল-হুতি বলেন, ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি ফিলিস্তিনি ভিত্তি নির্মূল করতে ইসরায়েল সফল হয়, তাহলে তারা কোনো বাধা ছাড়াই অন্যান্য দেশে অপরাধ চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৫
এমএইচডি/আরএইচ