ঢাকা, সোমবার, ২৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯ রমজান ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আসাদ অনুগতদের সংঘর্ষ, নিহত কয়েকশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৫
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আসাদ অনুগতদের সংঘর্ষ, নিহত কয়েকশ

সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় শহরগুলোয় ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির  নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র লড়াই চলছে। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার সেখানে আরও সৈন্য মোতায়েন করেছে।

২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ সরকারের পতন ঘটে। ক্ষমতা গ্রহণ করে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পর থেকেই দেশটিতে সহিংসতা চলছে। সিরীয় যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে দুই দিনের লড়াইয়ে হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। নতুন সরকারের জন্য এ পরিস্থিতি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (৮ মার্চ) সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, তারা তারতুস ও লাতাকিয়া গভর্নরেটের বেশিরভাগ এলাকা নিজেদের দখলে নিয়েছে। এই এলাকাগুলোয় গত বৃহস্পতিবারও আসাদের অনুগতরা চেকপয়েন্ট, নিরাপত্তা কনভয় এবং সামরিক ঘাঁটিতে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছিল।

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত ‍দিয়ে জানিয়েছে, হামলার প্রতিশোধ নিতে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ উপকূলীয় এলাকায় জড়ো হয়। যা কিছু বিচ্ছিন্ন সহিংসতারও জন্ম ‍দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো বন্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছে।

সংঘর্ষের তীব্রতা কমে গিয়েছিল। কিন্তু কিছু এলাকায় সংঘর্ষ অব্যাহত থাকে। এসব ঘটনায় শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।

লাতাকিয়াসহ অন্যান্য উপকূলীয় যে অঞ্চলগুলোয় আল-আসাদের সমর্থক আলাউইত সম্প্রদায়ের বাস, সে অঞ্চলগুলোয় কারফিউ জারি করা হয়েছে। লাতাকিয়ার রাশিয়ান খেমেইমিম ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক।

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আল-শারা গত শুক্রবার আল-আসাদ সমর্থিত বাহিনীকে দেরি হওয়ার আগেই অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা যুদ্ধের পর বাশার আল-আসাদকে অপসারণকারী বাহিনীর নেতা আল-শারা বলেন, সরকারি বাহিনী পতিত সরকারের বাকিদের ধরে আনবে এবং বিচারের আওতায় আনবে।

এদিকে সিরিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন চলমান সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখনও স্থিতিশীল এবং আমরা সঠিক তথ্য পাচ্ছি। তবে, উভয়পক্ষকেই আরও সংযমী হতে হবে। তাদের আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় আরও সচেতন হতে হবে।

তিরি বলেন, সাংঘর্ষিক উত্তেজনা বাড়ায় এমন কর্মকাণ্ড থেকে সকলের বিরত থাকা উচিত। সিরিয়ার অস্থিরতা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্তদের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেবে। এটা একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতিকে বিপন্ন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৫
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।