সুইডেনে কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত সেই ইরাকি নাগরিক সালওয়ান মোমিকা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী স্টকহোমের একজন বিচারক এ তথ্য জানিয়েছেন।
সুইডিশ গণমাধ্যমের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, স্টকহোমের নিকটবর্তী একটি শহরে গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন।
স্টকহোম জেলা আদালত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার নির্ধারিত একটি মামলার আসামি ছিলেন সালওয়ান মোমিকা। পরে তার মারা যাওয়ার খবরে সেই রায় স্থগিত করা হয়। গোরান লুন্ডাহল নামে আদালতের একজন বিচারক নিশ্চিত করেছেন যে, মৃত ব্যক্তির নাম মোমিকা। তবে মোমিকা কখন এবং কীভাবে মারা গেছেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে স্টকহোমের কাছে সোদেতেলজে নামক এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে গুলি চালানোর খবর পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। প্রাথমিকভাবে হত্যার তদন্ত শুরু করা হয়।
সূত্রের নাম উল্লেখ না করে ব্রডকাস্টার এসভিটি জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ব্যক্তি সালওয়ান মোমিকা। এতে বলা হয়েছে যে মোমিকা ২০১৮ সালে ইরাক থেকে সুইডেনে এসেছিলেন মোমিকা এবং ২০২১ সালে তাকে তিন বছরের জন্য বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
২০২৩ সালে স্টকহোম মসজিদের সামনে পবিত্র কুরআনের কয়েকটি পৃষ্ঠা ছিঁড়েন এবং আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন সালওয়ান মোমিকা। কুরআন পোড়ানোর সেই ভিডিও বিশ্বব্যাপী প্রচার পায় এবং সে সময় মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদ এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। যার ফলে অনেক জায়গায় দাঙ্গা ও অস্থিরতা দেখা দেয়।
৩৮ বছর বয়সী সালওয়ান মোমিকা আসিরীয় শরণার্থী ছিলেন। ২০২১ সালে তাকে সুইডেনের বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে সেটা খারিজ দিয়েছিল স্টকহোম। তবে গত বছরের মার্চে তিনি দাবি করেছিলেন যে, নরওয়েতে আশ্রয় নিতে চলেছেন তিনি।
এর কয়েকদিন পর জল্পনা শুরু হয়, নরওয়েতে গিয়ে মারা গিয়েছেন মোমিকা। নরওয়েতে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে একাধিক গণমাধ্যমে দাবি করা হয়। পরে নরওয়ের পুলিশ বাহিনী জানায়, সালওয়ান মোমিকার মৃত্যুর কোনো খবর মেলেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৫
এসএএইচ