ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩০ হাজার ছাড়াল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ৩০ হাজার ছাড়াল

গাজায় খাবারের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর উপত্যকাটিতে নিহত ৩০ হাজার ছাড়াল।

সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে।

দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা গাজায় গভীরতর মানবিক সংকটের মধ্যেই বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিল। অন্যদিকে ইসরায়েলি বাহিনী আবার রাফায় স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে দেড় মিলিয়ন লোক রয়েছেন, তাদের অধিকাংশই যুদ্ধে ঘরছাড়া হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।  

যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ভয়াবহ সহিংসতা এবং দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে হবে। ৭০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি সেখানে আহত হয়েছেন।  

আন্তর্জাতিক নিন্দায় পাত্তা না দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুনর্ব্যক্ত করেন, জরুরিভাবে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের প্রধান প্রবেশস্থল রাফায় অভিযান চলবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র বন্দি বিনিময়ের চুক্তি জনাকীর্ণ শহরটিতে হামলায় বিলম্ব ঘটাবে। এটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির একটি অংশ যাতে মধ্যস্থতা করছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র।

অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা উইলিয়াম মার্ক্স বলেন, যদি অঞ্চলটি সংঘাতের কেন্দ্রে পরিণত হয়, তবে সেখানে লোকজনের মধ্যে খাবার বিতরণে ত্রাণ সংস্থাগুলোর সক্ষমতার ওপর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে।  

গাজার অবনতিশীল পরিস্থিতি উল্লেখ করে এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইউএসএআইডির প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, ইসরায়েলের আরও ক্রসিং খুলে দেওয়া উচিত যাতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তাগুলো দ্রুত বাড়ানো যেতে পারে। এটি বাঁচা-মরার বিষয়।

খাবার ও ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী পদ্ধতিগতভাবে হামলা চালাচ্ছে।  

বৃহস্পতিবার পরিবারের জন্য ময়দা নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা বেসামরিকদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়। এতে ৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ঠান্ডা মাথার ধ্বংসযজ্ঞ বলে আখ্যা দিয়েছে।  

একই দিনে নুসাইরাত, বুরেইজ ও খান ইউনিসে শরণার্থীদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা ও বোমা হামলার পৃথক ঘটনায় অন্তত ৩০ জন নিহত হন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ৩০ হাজার ৩৫ জন এই সংঘাতে নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩ হাজারের বেশি শিশু ও আট হাজার ৮০০ নারী। আহত হয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৭ জন। এর মধ্যে ১১ হাজার লোকের অবস্থা গুরুতর।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।