ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

হামাসের হাতে রুশ মিসাইল, গাজায় ৩৪৫ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২৩
হামাসের হাতে রুশ মিসাইল, গাজায় ৩৪৫ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত

ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে ভয়াবহ লড়াইয়ে কয়েক ডজন ইসরায়েলি সেনা হতাহত হওয়ার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শনিবার গাজা উপত্যকায় তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে।

তুর্কি সংবাদ মাধ্যম আনাদোলুর মতে, প্রথমে অগ্রসর হওয়ার পর সাম্প্রতি গাজার বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পিছু হটতে শুরু করেছে।

ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান, কামান, যুদ্ধজাহাজ গাজা সিটি এবং উত্তর গাজায় আক্রমণ জোরদার করেছে। অন্যদিকে, হামাসের সশস্ত্র শাখা, আল-কাসাম ব্রিগেডস বলেছে যে তারা রকেট চালিত গ্রেনেড দিয়ে ইসরায়েলি সৈন্য, সামরিক যান এবং ট্যাঙ্ক আক্রমণ করেছে, বিশেষ করে গাজা শহরের উত্তরাঞ্চলে।

উত্তর গাজার আল-মাক্কাউসি এলাকায় এবং উত্তর-পশ্চিমে আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থান করা ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকা থেকে পিছু হটে ২ কি.মি. দূরে বেইত লাহিয়ার এবং উত্তর-পশ্চিমে আল-আমরিকিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।

আনাদোলু জানায়, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটে এসেছে সেটি আবাসিক ও জনবহুল এলাকা থেকে অনেক দূরের একটি কৃষিজমি।

আল-কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা একটি রেকর্ড করা বার্তায় বলেছেন, হামাস যোদ্ধারা উত্তর গাজা উপত্যকার বেইত হানুন, উত্তর-পশ্চিম গাজা সিটি, আল-জায়তুন এবং তাল আল-হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।

তিনি বলেন, আমাদের মুজাহিদিনরা গত দুই দিনে ২৪টি ইসরায়েলি সামরিক যান ধ্বংস করেছে।

গাজার যুদ্ধ মানচিত্র।  ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি শনিবার বলেছেন, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তারা ৩৪৫ সৈন্য হারিয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ গাজায়, আল-জায়তুন এবং তাল আল-হাওয়া এলাকায় টানা যুদ্ধবিমান এবং কামান গোলাবর্ষণ করে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপকূলীয় সড়ক থেকে ৫০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে, যা দক্ষিণ-পশ্চিম গাজা শহরের আল-রাশিদ স্ট্রিট নামে পরিচিত। আল-কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তারা দক্ষিণ গাজায়ও ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই এলাকায় রাশিয়ান ‘কনকুরস’ অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল দিয়ে একটি ইসরায়েলি ট্যাঙ্কে আক্রমণ চালিয়েছে তারা।  

ইসরায়েলি আক্রমণের ধরন দেখে মনে হচ্ছে তারা আল-জায়তুন এলাকা থেকে উত্তরের অগ্রসর গাজা হতে চাইছে। তাল আল-হাওয়া এলাকায় তারা যে ধরনের ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েছে তা দেখে মনে হচ্ছে তারা এই এলাকা দিয়েই সামনে এগুবে। ২০০৮-০৯ সালের ২৩ দিনের গাজা অভিযানেও ইসরায়েলি বাহিনী পূর্ব গাজা থেকে আল-জায়তুন এলাকায় প্রবেশ করেছিল।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত বলেছেন, আমরা বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত গাজাতেই থাকব, এমনকি তার জন্য যদি এক বছর সময় লাগে লাগবে। এই যুদ্ধের পরে, গাজায় এমন কোনো হুমকি থাকবে না যা দক্ষিণ সীমান্ত থেকে ইসরায়েলকে সন্ত্রস্ত করতে সক্ষম হবে। এই এলাকায় আমাদের সম্পূর্ণ অপারেশনাল স্বাধীনতা থাকবে।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২৩

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।