ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা শুরু রোববার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
শান্তিনিকেতনে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা শুরু রোববার বাংলাদেশ ভবন এলাকা, ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী আন্তর্জাতিক পৌষমেলা শুরু হতে যাচ্ছে আসছে রোববার (২৩ ডিসেম্বর) থেকে। গেলো বছর থেকে ছয় দিনব্যাপী শুরু হওয়া এ মেলা উপলক্ষে অন্যান্য বিভাগের সঙ্গে বন্ধ থাকবে বাংলাদেশ ভবনও। এর আগে ঐতিহ্যবাহী মেলাটি তিন দিনব্যাপী চলতো।

শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর)  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের মুখ্য সমন্বয়ক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বাংলানিউজকে বলেন, পৌষ উৎসব উপলক্ষে ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ভবন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। যদিও ভবনটিতে আস্তে আস্তে দর্শনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে।

ভবনের মিউজিয়াম আরও উন্নত সংগ্রহশালা বানাতে এ মুহুর্তে ঢাকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম টিমের কয়েকজন কাজ করছেন। প্রতিবছরই মেলা উপলক্ষে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় এখানে। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতীর জরুরি বিভাগ ছাড়া সব বন্ধ থাকবে। আবার বাংলাদেশ ভবন খোলা থাকবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে।

১৮৯৪ সাল থেকে শুরু হওয়া ঐতিহ্যবাহী এ মেলা এবার ১২৪তম বর্ষে পদার্পণ করছে।

মেলা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গেলো বছর মেলায় প্রতিদিন ৫০ হাজারের চেয়ে বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল। এছাড়া প্রতিবছরই এই মেলাকে কেন্দ্র করে গোটা বিশ্ব থেকে জড়ো হন রবীন্দ্র প্রেমীরা। ফলে এবারও মেলাটি যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেদিকে কড়া নজর রাখছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ।

এদিকে, গত কয়েক বছর ধরে বিতর্কের মুখে আছে শান্তিনিকেতনের এই পৌষমেলা। এ নিয়ে আদালতে দীর্ঘ লড়াই চলেছে। পরে নানা শর্ত আরোপ করে ছয়দিনের মেলা করার অনুমতি দেন আদালত। এছাড়া বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বভারতীতে স্থায়ী উপাচার্য না থাকায় জটিলতা আরও বেড়েছিল। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর স্থায়ী উপাচার্য পেয়েছে বিশ্বকবির এই প্রতিষ্ঠান। তাই সকলের আশা এবার নির্বিঘ্নেই সম্পন্ন হবে মেলাটি।
 
আর মেলায় প্রত্যাশা পূরণের চাপ রয়েছে বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাঁধে। তাই দেশে ফিরেই মেলার দায়িত্বে থাকা কর্তাদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে মেলার প্রতিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

অপরদিকে, এবারই মেলার স্টলের রেট ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রেকর্ড পরিমাণ আয়ও হয়েছে। এক হাজার ২২৫টি স্টল থেকে এখন পর্যন্ত ৭২ লাখ রুপির বেশি আয় হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি- দেড় হাজারের বেশি স্টল দেওয়া হয় এ মেলায়। আর তা যদি হয়, স্টল বণ্টন করেই কর্তৃপক্ষের আয় হবে ৮০ লাখের বেশি রুপি।

মেলাকে প্লাস্টিক ও থার্মোকল মুক্ত রাখারও পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৮
ভিএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।