ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা গুরুত্বপূর্ণ

রেজাউল করিম রাজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২২
ওমিক্রন প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি ও টিকা গুরুত্বপূর্ণ ডা. লেলিন চৌধুরী

ঢাকা: বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের কারণে বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। করোনারভাইরাসের আরও একটি ঢেউ আসন্ন—এ বস্থায় ওমিক্রন ঢেউ সামাল দিতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকাদানের ওপরে বেশি জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনে স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত হতে পারে বলে ইতোমধ্যে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। যদিও ওমিক্রন অতি সংক্রামক হলেও, ততটা বিপজ্জনক নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে সংক্রমণ বাড়লে সে ক্ষেত্রে মৃত্যুর হারও বেড়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।

করোনার অমিক্রন ধরন সামাল দিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে জানতে চাইলে হেলথ অ্যান্ড হোপ স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সারা বিশ্বেই করোনা আক্রান্ত রোগী বাড়ছে, বিশেষ করে বিশ্বের ১৩২টি দেশ ও অঞ্চলে ওমিক্রন ধরনের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে। এশিয়াতেও বাড়ছে করোনা রোগী, ভারতেও হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী। ভারতে রোগী বাড়লে অনিবার্যভাবেই বাংলাদেশে রোগী বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ১০ জন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং করে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা যায়। যেহেতু এই পরীক্ষাটি বাংলাদেশে কম হয়, তাই অনেকে ভাবছেন বাংলাদেশে ওমিক্রন আক্রান্ত রোগী কম রয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং বেশি করা হলে রোগীর সংখ্যা আরও বেশি হতো। ডেল্টা হোক আর ওমিক্রন হোক বর্তমানে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আমরা অনুভব করতে পারছি জানুয়ারির শেষ দিকে বা ফেব্রুয়ারির প্রথমাংশে নিঃসন্দেহে করোনারভাইরাসের আরেকটি ঢেউ আসন্ন। সেই ঢেউ কতটা প্রবল বা মৃদু হবে, সেটা নির্ভর করে আমরা কী প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেবো তার ওপর।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডা. লেলিন বলেন, যদি আমরা আমাদের লোকজনকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে, মাস্ক পরতে উদ্বুদ্ধ করতে পারি, করোনার সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেও যদি দ্রুত টেস্ট করার ব্যবস্থা নেওয়া যায়, একইসাথে দ্রুততম সময়ে যদি দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারি, তাহলে আমরা ওমিক্রন ঢেউ অনেকটা সামলে নিতে পারবো।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ডেল্টা ঢেউয়ের মতো যদি হয়, যেমন ডেল্টা ধরন দেশে প্রবেশ করার আগে যেমন কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, প্রবেশ করার পর আমরা হই চই শুরু করে দিলাম। এবারও সেরকমটা করলে হবে না। ওমিক্রন ঢেউ কেমন হবে, সেটা নির্ভর করবে আমাদের গৃহীত পদক্ষেপের ওপর। আমাদের দেশে অনেক চমৎকার সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়, কিন্তু পদক্ষেপ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ফারাক থেকে যায়। কিছুদিন আগেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৫ দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা কি বাস্তবায়ন হয়েছে, কিংবা বাস্তবায়নের কোনো লক্ষণ কি আমরা কোথাও দেখেছি, দেখিনি। পরিকল্পনা বা নির্দেশনাটাই বড় কথা নয়, সেটা যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। এই প্রয়োগের জায়গাটা নির্ধারণ করবে আমরা ওমিক্রন ঢেউ কীভাবে মোকাবিলা করবো, ঢেউয়ের তীব্রতা কম না বেশি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২১
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।