ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে এক বছরে এইডস আক্রান্ত ১৪৩৮ জন, মৃত্যু ১৯৫

নিউজ ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
দেশে এক বছরে এইডস আক্রান্ত ১৪৩৮ জন, মৃত্যু ১৯৫

ঢাকা: বিশ্ব এইডস দিবস আজ (০১ ডিসেম্বর)। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার নিশ্চিত হলে, এইচআইভি/এইডস যাবে চলে’।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর নতুন করে রোগটিতে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৪৩৮ জন। তাদের ৪২ শতাংশ সমকামী, ২৪ শতাংশ সাধারণ মানুষ ও ১০ শতাংশ রোহিঙ্গা। এ ছাড়া প্রবাসী শ্রমিক, যৌনকর্মী, মাদকসেবী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ রয়েছেন।  

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ৪০৬ জন, চট্টগ্রামে ৩২৬, খুলনায় ১৫৪, রাজশাহীতে ১৪৭ এবং অন্যান্য বিভাগে ৪৪ থেকে ৮৬ জন পর্যন্ত। এ রোগীদের ৬৩ শতাংশই ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী, ২১ শতাংশের বয়স ২০ থেকে ২৪ বছর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এইডস আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯৫ জনের। এর মধ্যে পুরুষ ৭৭ শতাংশ, নারী ২২ শতাংশ ও হিজড়া ১ শতাংশ । মৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই ষাটোর্ধ্ব।

বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছিল ১৯৮৯ সালে। দেশে ২০২৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শনাক্ত হয় ১২ হাজার ৪২২ জন। তাদের মধ্যে মারা গেছে দুই হাজার ২৮১ জন।

চলতি বছর যতজন এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৫৫ শতাংশই বিবাহিত। আর অবিবাহিত রয়েছেন ৪০ শতাংশ। বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত রয়েছেন ৫ শতাংশ। গত বছর বিবাহিতদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ৬০ শতাংশ। আর অবিবাহিতদের মধ্যে তা ছিল ৩১ শতাংশ।

গত বছর এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২৬৬। এবার এ সংখ্যা ১৯৫। মৃত্যুর সংখ্যা কমে গেলেও তা এখনো শঙ্কাজনক পর্যায়ে আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা।  

ইউএনএইডসের অনুমিত হিসাবে দেশে এইচআইভি সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৪ হাজার। সংক্রমিত ব্যক্তির তুলনায় শনাক্তের হার ৮৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

সংক্রমিত সাত হাজার ৫০০ মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। এখনো প্রায় দুই হাজার সংক্রমিত ব্যক্তি চিকিৎসার বাইরে রয়ে গেছে। তাদের ঝুঁকি অনেক বেশি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনলাইনভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপসের মাধমে দেশের সমকামী ব্যক্তিরা একজন অন্যজনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। পরে দেখা-সাক্ষাতের মাধ্যমে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছেন। এদের এইডস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

জাতীয় সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শ্রীবাস পাল বলেন, ১০ বছর আগে এইডসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই গ্রুপের মধ্যে বেশি ছিল। এক হচ্ছে যৌনকর্মী, আর দ্বিতীয় হচ্ছে যারা যৌনকর্মীর সেবা নিতেন। কিন্তু গত দু-তিন বছরে আমাদের এখানে সমকামী পুরুষের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।