ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

শাহ মখদুম মেডিক্যালের বিরুদ্ধে সনদ আটকে রাখার অভিযোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
শাহ মখদুম মেডিক্যালের বিরুদ্ধে সনদ আটকে রাখার অভিযোগ শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজশাহী: এবার শিক্ষার্থীদের সনদপত্র আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ভর্তির সময় এসএসসি ও এইচএসসির এসব সনদপত্র এবং নম্বরপত্র জমা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।

তারা এখন মাইগ্রেশন করে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করলেও শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সনদ-নম্বরপত্র ফেরত দিচ্ছে না।

এ ঘটনায় রোববার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) বিরুদ্ধে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে জানান, তারা মাইগ্রেশন করে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু সনদ-নম্বরপত্র জমা দিতে পারেননি। এখান থেকে সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত তারা উঠবেন না। তাদের আন্দোলন চলবেই।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলেজ কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতে একটি রিট করেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখার দাবি জানানো হয়েছে। আদালত বলেছেন, যেসব শিক্ষার্থী ইতোমধ্যে মাইগ্রেশন করে ফেলেছেন তাদের সনদ ও নম্বরপত্র ফেরত দিতে হবে। আমরা ২০৩ জন ইতোমধ্যে অন্য কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিন্তু আমাদের কাগজপত্র ফেরত দেওয়া হচ্ছে না।

তবে শিক্ষার্থীদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো কথা বলতে নারাজ শাহ মখদুম মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীন ক্যাম্পাসে নেই। তার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

এর আগে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এই মেডিক্যাল কলেজে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অন্য কোনো মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করে দিতে বলা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানায়। এরপর ২৮ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের একটি দল প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনে আসার কথা জানায়। এর আগে ২৬ নভেম্বর শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে ঢুকতে চাইলে বাধা দেওয়া হয়।

ওই সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে। এতে অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মামলা হয়। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির এমডি মনিরুজ্জামান স্বাধীন এ মামলায় জামিনে আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২১
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।