ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

দেশে ১০ হাজার জনের জন্য কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী ৫ জন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১

ঢাকা: বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য প্রশিক্ষিত কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছে মাত্র ৫ জন।

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।



বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থা শীর্ষক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা গড়ে ৪ দশমিক ২৭। দেশের সবগুলো বিভাগেই এ সংখ্যা প্রায় সমান।

তবে ঘনত্ব অনুযায়ী এ সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বরিশালে। যা ৪ দশমিক ৮০ এবং সবচেয়ে কম রাজশাহী বিভাগে ৪ দশমিক ০৯।

জেলা পর্যায়ে ঘনত্ব অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বান্দরবান। এ জেলায় প্রতি দশ হাজারে কমিউনিটি স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা ৮ দশমিক ৬৬। নারায়ণগঞ্জে এ সংখ্যা মাত্র ২ দশমিক ৭৪।

মতবিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিভাগের পরিচালক মাইকেল ফলি এবং ডা. সাঈদ রুবায়েত।

প্রতিবেদনে দেখানো হয়, গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি সংস্থাগুলোর কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা বেশি। যা প্রতি ১০ হাজারে ৯ দশমিক ৩২।

তবে সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করছে রংপুর বিভাগে। এখানে ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ২২ দশমিক ৫। তবে রাজশাহী বিভাগে এ ঘনত্ব সবচেয়ে কম ৯ দশমিক ৩।

তবে উপজেলা পর্যায়ে রংপুরের তারাগঞ্জে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এর ঘনত্ব ৩০ দশমিক ১। কুমিল্লা জেলার লাকশাম উপজেলায় এ ঘনত্ব মাত্র শূণ্য দশমিক এক।

মাইকেল ফলি বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ নবজাতক মারা যায়। তাদের মধ্যে তিন চতুর্থাংশ নবজাতক মারা যায় জন্মের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে। অথচ এর বেশির ভাগই প্রতিরোধযোগ্য।

তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা যায় যে বাড়িভিত্তিক স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম ৩০ থেকে ৬০ ভাগ নবজাতকের মৃত্যু প্রতিরোধ করতে পারে।

তিনি বলেন, নবজাতকের অত্যাবশকীয় সেবা (ইএনসি) বিষয়ে প্রশিক্ষিত কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীরাই পারেন সঠিকভাবে বুকের দুধ পান করানো, পরিচ্ছন্নতা, প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া এবং শিশুকে উষ্ণ ও শুকনো রাখা বিষয়ে নতুন মাকে শেখাতে।

উপস্থাপিত গবেষণায় দেখা যায়, সরকারের কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর এক তৃতীয়াংশেরও কম ‘ইএনসি’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ আছে।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, চট্রগ্রাম বিভাগে প্রতি ১০ হাজার জনের জন্য মাত্র ১জন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ রয়েছে।

অন্যদিকে রংপুর বিভাগে এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র ১৬ জন কমিউনিটি স্বাস্থ্যকর্মীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।