ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চিকিৎসকদের নৈতিক শিক্ষা খুবই প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
চিকিৎসকদের নৈতিক শিক্ষা খুবই প্রয়োজন: পরিকল্পনামন্ত্রী ২০তম এশিয়ান বায়ো-ইথিক্স কনফারেন্সে মন্ত্রী ও অন্যরা

ঢাকা: চিকিৎসকদের নৈতিক শিক্ষা খুবই প্রয়োজন মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জীবনের প্রতিটা কাজে নৈতিকতা মেনে চলা জরুরি। নৈতিকতা অনেক অন্যায় কাজ থেকে বিরত রাখতে পারে। বিশেষ করে ডাক্তারি পেশায় নৈতিকতা খুবই প্রয়োজন। 

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে ২০তম এশিয়ান বায়ো-ইথিক্স কনফারেন্সে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
 
মন্ত্রী বলেন, আমরা শুনি চিকিৎসায় অপ্রয়োজনীয় কাজে অর্থ ব্যয় করা হয়।

আবার শুনি বিভিন্ন ধরনের অপারেশন করা হয়, যার কোনো প্রয়োজন নেই। বিষয়গুলো আমাদের সামনে আসে।

তিনি আরো বলেন, অপ্রয়োজনীয় অপারেশনসহ অন্যায় কাজগুলো বন্ধ শুধু আইন দিয়ে হবে না, নৈতিকতাও প্রয়োজন। সরকারের কাজের সঙ্গে ডাক্তারের অনেক কাজের মিল আছে। ডাক্তারদের আরো নৈতিক হতে হবে।
 
নৈতিকতা প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘আমরা আন ইথিক্যাল লোক নই, আমরা ইথিকসে বিশ্বাস করি। ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে হোক অথবা জাতীয়তাবোধ থেকেই হোক, আমরা খুবই ইথিক্যাল। ইথিক্যাল শুধু ব্যক্তিগতভাবে হলে হবে না সমাজকেও এই শিক্ষা দিতে হবে। এজন্য প্রয়োজন লিডারশিপ। আপনারা কেউ আমাদের ভুল বুঝবেন না, আমাদের ইথিক্যাল লিডারশিপ আছে, শক্ত লিডারশিপ আছেন, তিনি হলেন  আমাদের প্রধানমন্ত্রী।
 
মন্ত্রী বলেন, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আমার মতো সাধারণ পেশার মানুষ, সচিব, উপ-সচিব যারা আছেন সবার ক্ষেত্রে নৈতিকতা মৌলিক প্রয়োজন। আপনি ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে দেখতে পারেন। ধর্মীয় শিক্ষা মানুষকে নৈতিক শিক্ষা দিয়ে থাকে। নৈতিকতার জন্য শক্ত লিডারশিপ দরকার সেটা আমাদের আছে। আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় আমরা নৈতিকতায় এগিয়ে আছি। আমরা যে যেখানে আছি সবাই যদি নৈতিকতা মানি, তাহলে পুরো জাতি নৈতিকতার মধ্যে চলে যাবে।
 
গবেষণা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা গবেষণায় জোর দিয়েছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তারা গবেষক নয়। গবেষণা করতে হবে আপনাদের। আমরা পড়াশোনা করে রাজনীতিতে চলে এসেছি। এখন যারা প্রকৌশলী, ডাক্তার তাদের বেশি করে গবেষণা করতে হবে। আমাদের একটা গবেষণা কাউন্সিল আছে তারা গবেষণা করবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। পশ্চিমারা গবেষণা করে নোবেল পুরস্কার পায়। আমাদের শিক্ষকরা, ডাক্তাররা, ইঞ্জিনিয়াররা গবেষণা করবেন, এর জন্য কোনো অর্থের অভাব হবে না।
 
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব নূরুল আমিন, বায়োইথিক্স সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক শামীমা পারভিন লস্কর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।