ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

বছরে রোগে ভুগে মৃত্যুর ৯ শতাংশই ফুসফুসব্যাধি সংক্রান্ত 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
বছরে রোগে ভুগে মৃত্যুর ৯ শতাংশই ফুসফুসব্যাধি সংক্রান্ত 

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি বছর রোগে ভুগে মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৮.৬৯ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬৮ হাজার ৪৬২ জন ফুসফুস সংক্রান্ত ব্যাধির কারণে মারা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন (বিএলএফ) আয়োজিত ‘পালমোকন- ২০১৯’  শীর্ষক  ৬ষ্ঠ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশে প্রতি বছর শুধুমাত্র অ্যাজমা রোগেই আক্রান্ত হয় প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।

এছাড়া প্রায় ৭০ হাজার টিবি রোগী এ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে শ্বসনতন্ত্র বা শ্বাসতন্ত্রসংক্রান্ত রোগব্যাধিকে দেশের অন্যতম বড় স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন বিশেষজ্ঞরা। এ সমস্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তারা।  

বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, আমাদের দেশে বায়ুদূষণ, তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ফুসফসের বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।  

বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৮টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৩ শ’ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। ৩ দিনব্যাপী এ সম্মেলন শেষ হবে ৮ নভেম্বর। সম্মেলনকালে বিভিন্ন কর্মশালা ও বিজ্ঞাভিত্তিক সেশন অনুষ্ঠিত হবে।  

আয়োজকরা আশা প্রকাশ করে, সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা তাদের গবেষণা ও ক্লিনিক্যাল অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরো কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্ষম হবে। তারা চায়, ফুসফুসের স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও পালমোনলজি বিষয়ে সর্বশেষ গবেষণার ফলাফল দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে যাক।  

বিএলএফ’র সভাপতি প্রফেসর মো. আলী হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আসিফ মুজতবা আহমেদ, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য প্রফেসর মো. রুহুল আমীন, পালমোকন’র কংগ্রেস চেয়ার প্রফেসর মো. রশিদুল হাসান প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএএম/এইচজে 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।