ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

জানতে হবে কিশোর-কিশোরীর সমস্যা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
জানতে হবে কিশোর-কিশোরীর সমস্যা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জ: শিশু-কিশোর ও কিশোরীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য তাদের সমস্যা জানা, বলা এবং বুঝানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারসহ সব পেশার অভিভাবকেরা।

১২ থেকে ১৮ পর্যন্ত বয়সসন্ধির সময়।

আর সেই সময় ছেলে কিংবা মেয়ে দুইজনই যেন হতাশ না হয়ে স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারে সেই জন্য স্কুল কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় প্রথমে পরিবার থেকেই শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

রোববার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভাকক্ষে জনগণের জন্য স্বাস্থ্য সংলাপ বিষয়ে আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানান বক্তারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআরবি’র শেয়ার প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম যৌথ উদ্যাগে ‘শিশু-কিশোর-কিশোরীদের জন্য বিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবা’ নামে ওই সংলাপের আয়োজন করা হয়।

এসময় সভায় কিশোর ও কিশোরীদের বয়সসন্ধি সময়ে বিষয়ে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয় উপস্থাপন করেন।  

এর প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো.শফিউর রহমান স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের এ বিষয়ে জানার জন্য, বলার জন্য ও বুঝানোর পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের এ ধরনের সমস্যা দূর করতে সরকারের স্কুল হেলথ ক্লিনিক প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে। ১৯৫১ সালে ঢাকা ও চট্রগ্রাম শহরে সর্বপ্রথম চালু হওয়া স্কুল হেলথ কার্যক্রম চলছে ১৪ টি জেলায়। এই বিদ্যালয় কেন্দ্রিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় স্কুল হেলথ ক্লিনিক রয়েছে যেখানে দুইজন মেডিক্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের টিকাদান, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন এবং ফার্স্ট এইডের ব্যবস্থা রয়েছে।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তির স্ক্রিনিং সুবিধাসহ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক কর্মসূচি রয়েছে স্কুল হেলথ ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে।

ডা. মো.শফিউর রহমান আরও জানান, ‘নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রাইলেট প্রকল্প হিসেবে বিনামূল্যে স্যানিটারি নেপকিন দেওয়াসহ স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচি চালু করা হবে। যা পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জেলায় শুরু হবে। ’

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাসের সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রাম ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো.শফিউর রহমানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- আইসিডিডিআরবি’র বৈজ্ঞানিক এবং প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল আনোয়ার, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের রোগতত্ব উপ পরিচালক ডা. খালেদা ইসলাম, আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র গবেষক ড. সোহানা শফিক, নারায়ণগঞ্জ ১শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) আসাদ্দুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জের অ্যাডোলেসেন্ট অ্যান্ড স্কুল হেলথ প্রোগ্রামের মেডিকেল অফিসার ফাতেমা সুলতানা, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা শামীমা নাসরিন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শাহিনারা আফরোজসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।