ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

পাকস্থলীর ইতিকথা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১১
পাকস্থলীর ইতিকথা

নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে এটা শরীরের ‘পাক করার স্থল’ বা ‘রান্না করার জায়গা’। আমরা যা খাই তার বেশির ভাগই এখানে রান্না হয়।

পাকস্থলীতে আছে নানা রকম জারক রস। এসব জারক রসকে আমরা রান্না করার বিভিন্ন্ মশলার সাথে তুলনা করতে পারি। আমরা যা খাই তার অধিকাংশ এ জারক রসে পাচিত হয়। তারপর খাবারগুলো বিভিন্ন্ অনু-পনমাণুতে বিভক্ত হয়ে শরীরকে পুষ্টি আর শক্তি জোগায়।

পাকস্থলীকে ইংরেজীতে বলা হয় স্টোমাক। এটা ল্যাটিন ভাষা থেকে এসেছে। আর এর  অর্থ হলো মুখ।

এর অবস্থান পেটে। আরো সূক্ষভাবে বলতে গেলে এর অবস্থান পেটের বাম পাশে। ডায়াফ্রাম নামের একটা বিভেদকারী মোটা পর্দা দিয়ে বুক থেকে পৃথক করা। একজন পূর্ণ মানুষের পাকস্থলী ২ থেকে ৩ লিটার এর মতো খাদ্য ধারণ করতে পারে। এটা ডানদিকে বাঁকানো থাকে। এজন্য এ ফাঁপা মাংশল অঙ্গতে দু’টা বাঁক তৈরী হয়। একটাকে ছোট আর অন্যটাকে বড় বাঁক বলা হয়।

এর চারটা অংশ। কার্ডিয়া, ফান্ডাস, বডি বা কর্পোরাস আর  পাইলোরাস।

এর অবস্থান গলবিল আর ক্ষুদ্রান্ত্রের মাঝামাঝি স্থানে। এখান থেকে খাদ্যকণা বিশ্লিষ্ট হয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রে যায়, শোষিত হবার জন্য।
এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত হয় দু’টা গেইট বা কপাট এর মাধ্যমে। এগুলোকে স্ফিংক্টার বলে। এদের আবার আলাদা আলাদা নামও আছে। বুকের বা উপরের দিকেরটাকে ডাকা হয় কার্ডিয়াক স্ফিংক্টার বলে। অপরপ্রান্তে নিচেরটাতে বলে পাইলোরিক স্ফিংক্টার।  

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।