ঢাকা: যেসব দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ডেটার যথাযথ ব্যবহার করতে পারবে, তারাই ভবিষ্যতের নেতৃত্বে থাকবে। এমনটি বলেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ইনোভেশন ডায়ালগে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, প্রযুক্তি, বিশেষত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতকে রূপান্তরিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শিক্ষার্থীরা রোবটিক্স ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রকল্পে সাফল্য অর্জন করে বিশ্বব্যাপী তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে।
তিনি বলেন, যেসব দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ডেটার যথাযথ ব্যবহার করতে পারবে, তারাই ভবিষ্যতের নেতৃত্বে থাকবে। আসুন, আমরা এ রূপান্তর নিই এবং আমাদের তরুণদের বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ বলেন, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা অত্যন্ত জরুরি। আমাদের শিক্ষাখাতে বাজেট বাড়ানো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অতিরিক্ত কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া এবং অবকাঠামো ও গবেষণায় বিনিয়োগ করা প্রয়োজন যাতে আমরা আমাদের যুবসমাজের ক্ষমতায়ন করতে পারি।
তিনি বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অংশীদারত্ব এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মতো উদ্যোগগুলো জ্ঞান বিনিময়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সাহসী সংস্কার ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারব, যা জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্ভাবনী অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করার যে প্রচেষ্টায় আমরা সবাই কাজ করে যাচ্ছি, ন্যাশনাল এডুকেশন অ্যান্ড ইনোভেশন ডায়লগ সেই লক্ষ্যে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগকে প্রতিফলিত করে।
তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা, ব্যবসা, প্রশাসন এবং নীতিনির্ধারকদের একত্রিত করে, আমরা এমন একটি রোডম্যাপ তৈরি করতে চাই, যা তরুণ প্রজন্মের জন্য বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের মাধ্যমে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং জাতি হিসেবে আমাদের উন্নয়নকে তরান্বিত করবে।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্সের ফাউন্ডার অ্যান্ড চেয়ারম্যান ইফতেখারুল (ইফতি) ইসলাম, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর আবদুল হান্নান চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মদ কামরুল আহসান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার প্রমুখ।
পাঁচটি প্যানেল আলোচনা এবং একটি প্ল্যানেটারি সেশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ ডায়ালগের বিভিন্ন প্যানেলে শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি কার্যকরি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম, শিক্ষার্থীদের দক্ষতার উন্নয়ন, সামাজিক উদ্ভাবনে গুরুত্বারোপ এবং উদ্ভাবনীবান্ধব অর্থায়নসহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
এমআইএইচ/আরএইচ