ঢাকা: দুই বছর পর আবারও মহা আনন্দ ও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হলো পবিত্র ঈদুল ফিতর। মহামারি করোনার ছোবলে আক্রান্ত ছিল সারা বিশ্ব।

তাই গত দুই বছর বন্ধ ছিল রাজধানীর হাইকোর্টের পাশে অবস্থিত জাতীয় ঈদগাহের জামাত। সংক্রমণ পরিস্থিতি একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে এসেছে।

তাই স্বাভাবিক সময়ের মতোই পালন করা হলো কেন্দ্রীয় ঈদের জামাত।
কয়েকদিন আগে থেকেই জাতীয় ঈদগাহ ময়দান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা বলয়ে আবদ্ধ ছিল।
সকাল থেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ, গোয়েন্দাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঈদের নামাজ পড়তে আসা প্রতিটি মুসল্লিকে তল্লাশির মাধ্যমে ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় জামাত জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়তে নারী ও পুরুষের দীর্ঘ লাইন।
অতি আনন্দে প্রথম বারের মতো অভিভাবকদের হাত ধরে শরিক হয়েছে শিশুরাও। অনেক শিশুই কাঁধে চড়ে ঈদের নামাজ পড়তে ঈদগাহে এসেছে।
ঈদগাহ ময়দান পরিপূর্ণ হয়ে এর আশে পাশের রাস্তায় হাজার হাজার মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে মোনাজাতে বিশ্ব উম্মার জন্য দোয়া করা হয় যেন, পৃথিবী থেকে পুরোপুরিভাবে মহামারি করোনামুক্ত হয়। মানুষ যেন স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
মোনাজাত শেষে ছোট-বড় সবাই একজন আরেকজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করেন।
কেউ কেউ গরিব ও অসহায় মানুষদের টাকা-পয়সাও দান করেছেন।
সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। মুসল্লিরা সবাই বৃষ্টির ভয়েও ছিল। তবে নামাজ শেষ হওয়ার পরপর বৃষ্টি শুরু হলে সবাই দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৭ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২২
আরআইএস