গন্ধ শুকে বোম্ব শনাক্ত করতে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়মিত ব্যবহৃত হয় কুকুর। মানুষের অতি উপকারী প্রাণী এই কুকুর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য রোবট নির্মাণ করেছে ‘বোস্টন ডায়নামিক্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এ অস্ত্রটি প্রাণঘাতী নয়। এটা এক ধরনের লেজার নিক্ষেপ করে যা শত্রুর কাছাকাছি এসে বিস্ফোরিত হয়। এতে মানুষের নার্ভে প্রচণ্ড ব্যাথা সৃষ্টি হয় এবং অজ্ঞান হয়ে যায়।
দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় মার্কিন মেরিন করপোরেশন নতুন একটি আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করে। তারা বাদুড়কে আত্মঘাতী বোমারু হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে। বাদুড়ের গায়ে বিস্ফোরক যুক্ত করে এর ইকোলোকেশনকে প্রভাবিত করে তা টার্গেটের দিকে ধাবিত করা হয়। পেনসিলভানিয়ার একজন ডেন্টিস্ট মূলত এ আইডিয়ার উদ্ভাবক। কিন্তু অ্যাটমিক বোমকে অধিক কার্যকরী মনে হওয়ায় বাদুড় বোমা যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়নি।
যুদ্ধক্ষেত্রে ডলফিন ব্যবহারের প্রকল্প প্রথম শুরু করে সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৬০ সালে। মূলত সাগরতলের যুদ্ধযান শনাক্তের জন্য ডলফিনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। পরে ডলফিনদের এ কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রও।
বাংলাদেশ সময়: ০৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০১৮
এনএইচটি/এএ