সেই গ্রামের প্রাচীন আদিনাথ মন্দির সংলগ্ন ঠাকুরতলাবাসীরা পাহাড়ের নিচু ও সমতল জমিতে বংশগতভাবে পান চাষ করেন। মহেশখালীতে মিঠা পানের পাশাপাশি প্রচুর সাচি পান চাষ করা হয়ে থাকে।

রোববার (৪ মার্চ) পাহাড়ের চূড়া থেকে নেমে গ্রামের রাস্তা ধরে সামনে যেতেই চোখে পড়ে বিশাল পানের বরজ। বরজে পানচাষিরা দিনভর ভাগাভাগি করে কাজ করেন। বরজের অদূরে একটি খাল। সেখান থেকে দুই চাষি পানি সংগ্রহ করছেন।
আবার দেখা গেলো একজন চাষি যত্নসহকারে পানগাছ লাঠির সঙ্গে বেঁধে দিচ্ছেন।
অন্যদিকে চোখে পড়লো ্একজন পানচাষি পাইপ দিয়ে পানির ছিটাচ্ছেন।
শাপলাপুর ইউনিয়নের একাধিক পানচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতবছরের বৃষ্টিতে পানের বরজে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পানচাষিরা নানামুখী সমস্যায় জর্জরিত। পানগাছকে পোকা মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত ছিটানো হয় 'গোলাপ' নামক ওষুধ। অনেক যত্ন, পরিশ্রম ও সাবধানতার কারণেই মহেশখালীর এই মিষ্টি পান উৎপাদনে সমগ্র বাংলাদেশে এই উপজেলার সুনাম রয়েছে। শত শত ব্যবসায়ীরাও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উন্নতমানের মিষ্টি পান ক্রয় করার জন্য এখানে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৮
এএটি