ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

আমবাগানে পিঠা উৎসব, ম্যাংগো পাটিসাপটায় আকর্ষণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
আমবাগানে পিঠা উৎসব, ম্যাংগো পাটিসাপটায় আকর্ষণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ব্যক্তি উদ্যোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে আমবাগানের মধ্যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।  

শিবগঞ্জ উপজেলার কালোপুরের একটি আমবাগানে রোববার (২৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব ও বাগানমেলা হয়।

 

শিবগঞ্জে প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ উৎসবে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।  

এখানে ছিল ম্যাংগো পাটিসাপটা, সাধারণ পাটিসাপটা, দুধপিঠা, ঝিনুক পিঠা, ম্যাংগো বারসহ অন্তত ২৫ ধরনের পিঠা।

পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি বিভিন্ন কুটির শিল্প ও নকশি কাঁথা ছিল অন্যতম আকর্ষণ।  

আমগাছে টং ঘর ও ম্যাংগো পাটিসাপটা ছিল মেলার মূল আকর্ষণ।

আব্দুর রহিম নামে এক দর্শনার্থী জানান, তিনি গোপালগঞ্জ থেকে এখানে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। পরে  জানতে পারেন আমবাগানে পিঠা উৎসব হচ্ছে। তাই চলে এসেছেন। বিভিন্ন ধরনের পিঠার পাশাপাশি আমবাগান দেখার সুযোগ পাওয়ায় খুশি তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম জানান, শিবগঞ্জে কোনো বিনোদনের জায়গা নাই। বাচ্চাদের বিনোদনও হলো আবার বিভিন্ন ধরনের পিঠাও খেতে পারল।

রাজশাহী গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থী সামির জানায়, সে তার ভাই জামিরের সঙ্গে মেলায় এসেছে। বাগানের মধ্যে মেলা এবং গাছের ওপর টং ঘরে দাঁড়িয়ে পুরো বাগান দেখে খুশি সে।

উদ্যোক্তা নাসরিন আক্তার বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় আমরা আনন্দিত। আমি ১০ ধরনের পিঠা ও বিভিন্ন ডিজাইনের নকশি কাঁথা এনেছি। দর্শনার্থীদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমরা আশা করব, আগামীতে প্রতি বছর যেন এমন আয়োজন করা হয়।  

অপর উদ্যোক্তা আফরোজা রহমান জানান, প্রথমবার হওয়ায় ভয়ে ভয়ে ১২ ধরনের পিঠা এনেছি। এর মধ্যে ভিন্ন ফ্লেভারের হওয়ায় ম্যাংগো পাটিসাপটার চাহিদা ব্যাপক। দুপুরেই সব পিঠা শেষ হয়ে গেছে। আগামীতে এ ধরনের আয়োজন হলে ২০ ধরনের পিঠা নিয়ে আসব।

আয়োজক সাংবাদিক আহসান হাবিব বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী হওয়ায় আম ও জেলার বিভিন্ন ধরনের পিঠাকে পরিচিত করে তোলাই আমার মূল উদ্দেশ্য। এখানে আমগাছের ওপর টং ঘর, বিভিন্ন প্রজাতির আমগাছ, ঔষধি গাছসহ প্রাকৃতিক পরিবেশে অন্তত একদিন বিনোদন দিতে পেরে আমি আনন্দিত। এ উদ্যোগের কারণে ফুলগাছসহ বাগানের কিছুটা ক্ষতি হলেও এলাকার স্বার্থে নারী উদ্যোক্তাদের সুযোগ করে দিতে এ ছোট উদ্যোগ নিয়েছি।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।