ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

মারা গেলো হরিণ শাবক শুক্লা, তদন্ত কমিটি গঠন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
মারা গেলো হরিণ শাবক শুক্লা, তদন্ত কমিটি গঠন

নাটোর: জন্ম নেওয়ার একদিন পর নাটোরের উত্তরা গণভবনে হরিণ শাবক শুক্লা মারা গেছে।

বৃহস্পতিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

তিনি জানান, প্রথমবারের মতো উত্তরা গণভবণে কোনো প্রাণের আগমনে সবাই খুশি ছিল।

কিন্তু শাবকটি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি জানতে পারেন শুক্লা মারা গেছে। ময়নাতদন্ত করে শাবকটির মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পরে হরিণ শাবকটির মরদেহ ময়নাতদন্ত করে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে এ ঘটনায় বিকেলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ড. রাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন ও নেজারত শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির মুন্সি।

>>> আরো পড়ুন... উত্তরা গণভবনে জন্মালো হরিণ শাবক

মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে হরিণী শ্যামার গর্ভে জন্ম নেয় শুক্লা। জেলা প্রশাসক মোহম্মদ শাহরিয়াজ শাবকটির নামকরণ করেন শুক্লা। বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) শাবকটি দেখতে গণভবনের হরিণশালায় ভিড় করে প্রচুর দর্শণার্থী। এসময় অনেকেই শাবকটি নিয়ে অতিরিক্ত টানা হেঁচড়া করেন।

হরিণ শাবকের ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হরিণ শাবক শুক্লা জন্মগ্রহণ করার পর থেকে তার মা শাবককে তার দুধ খেতে দেয়নি। এরপর তাকে বিকল্পভাবে দুধ খাওয়ানো হয়। শাবক জন্মের পর তারা মা তাকে কাছে না নেওয়ায় শাবকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
 
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, কোন আঘাত জনিত কারণে নয়, ঠাণ্ডাজনিত কারণে ও জন্মের পর মায়ের দুধ না পাওয়ার কারণে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৮
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।