ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

অদেখা ‘বুনো ফল’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
অদেখা ‘বুনো ফল’ বুনো ফল, ছবি- তারেক অণু

মৌলভীবাজার: লাল-সবুজ রঙ ঠাঁই পেয়েছে বুনো ফলে। প্রাকৃতিক এ সৃষ্টি সম্ভারটি এতই মনোমুগ্ধকর যে হৃদয়ে এটি বিস্ময় জাগায়।

এ বুনো ফলটি হুবুহু কানের দুলের মতো। ফলটির প্রাকৃতিক গঠনশৈলী অতি নান্দনিক।

প্রকৃতির এমন সৃষ্টি দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। প্রতিটি কোণের সাজসজ্জা নিঁখুত। অনেক ক্ষেত্রে কৃত্রিম দুল-কেও মানিয়েছে এটি।

বন থেকে তুলে কসমেটিকস দোকানে সাজিয়ে রাখলে অনেকেই হোঁচট খেলে যাবেন। ধরতেই পারবেন না আসলে এটি যে কানের দুল নয়।

বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহ-সভাপতি এবং পাখি গবেষক তারেক অণু সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সম্প্রতি এ ছবিটি তুলেছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, হুবহু নারীদের কানের দুল বা নাকফুলের মতোই দেখতে এটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এর প্রজাতি সনাক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, এটি ফুল নয়, বুনো ফল। এটি ‘ভার্বিনাসি ফ্যামেলি’ অর্থাৎ আমাদের ভাট ফুল পরিবারের উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Clerodendrum wallichii। এর ফুলটি শরতের দিকে ফুটে।

‘এটি চীন, ভারত প্রকৃতি দেশে পাওয়া যায়। ফলটি বনের পশু-পাখি হয়তো খায়, তবে মানুষ খায় কি-না তা জানি না। আসলে এর পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের কাছে নেই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ফুলটা নিচের দিকে ঝুলে থাকে লতানো অবস্থায়। এর সবুজ অংশটাই ফল এবং লাল অংশটা হচ্ছে বীজ। এর পাঁচটি সাদা পাপড়ি ছিল, যা ঝরে পড়ে গেছে। তবে লাল অংশ হচ্ছে বৃতি, এগুলো স্থায়ী। ’

পাঁচটি বৃতি নান্দনিকভাবে স্টার বা তারার মতো ফলের সঙ্গে লাগানো থাকে বলে জানান উদ্ভিদ গবেষক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
বিবিবি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।