ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

‘টফি স্টার সার্চ তরুণদের জন্যে অনেক বড় সুযোগ’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
‘টফি স্টার সার্চ তরুণদের জন্যে অনেক বড় সুযোগ’ অভিনয় শিল্পী তারিক আনাম খান।

ঢাকা: দেশের অন্যতম মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংকের এন্টারটেইনমেন্ট অ্যাপ টফিতে চলছে বিশেষ রিয়েলিটি শো ‘টফি স্টার সার্চ’। যেকোনো বিষয়ে পারদর্শীরা নিজের প্রতিভা প্রদর্শন করে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া যায়।

এই আয়োজনের অন্যতম বিচারক হিসেবে আছেন অভিনয় শিল্পী তারিক আনাম খান। কেমন হবে রিয়েলিটি শো ‘টফি স্টার সার্চ? সে বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন তিনি।

প্রশ্ন: একজন বিচারক হিসেবে ‘টফি স্টার সার্চ’ প্রতিযোগিতা থেকে আপনার প্রত্যাশা কি?

উত্তর: আমাদের দেশে বিশেষ করে কালচারাল এক্টিভিটির ক্ষেত্রে বর্তমানে শেখার জায়গা খুব সীমিত। একটা সময় যারা গ্রুপ থিয়েটারে ভালো করতো, তাদের নিয়ে অনেক কথা হতো। তারা ভালো কাজের সুযোগ পেতো। সেরকমটা এখন আর তেমন হয় না। সেই জায়গা থেকে আমি বলবো ‘টফি স্টার সার্চ’ খুব ভালো একটি উদ্যোগ। একজন প্রতিযোগীর যে ধরনের ট্যালেন্টই থাক না কেনো, সে যদি সেটাতে স্কিলফুল হয়, তাহলে কিন্তু তার বড় একটি জায়গা অর্জনের সম্ভবনা রয়েছে এখানে। আমি মনে করি, আগামী বিশ্বে টিকতে গেলে আমাদের দেশের লোকদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেই তৈরি করার ক্ষেত্রে ‘টফি স্টার সার্চ’ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে ‘টফি স্টার সার্চ’ এর মতো উদ্যোগুলোকে খুব পজেটিভ ভাবে দেখি। সেই জায়গা থেকেই এর সঙ্গে আমার যুক্ত হওয়া। সেটা হচ্ছে নাচ, গান বা অভিনয় নিয়ে দেশে প্রচুর রিয়েলিটি শো হলেও ‘টফি স্টার সার্চ’ প্রায় সব ধরনের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ করে দিচ্ছে। যা নিশ্চয়ই একটা কিছু করে দেখানোর নেশায় মাতোয়ারা তরুণদের জন্যে অনেক বড় একটা সুযোগ।

প্রশ্ন: ‘টফি স্টার সার্চ’ এর জাজ প্যানেলে আপনার সঙ্গে আছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ও নায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। তাদের সঙ্গে আপনার কাজের রসায়নটা কেমন হবে?

উত্তর: চঞ্চল চৌধুরী বর্তমান সময়ের একজন অন্যতম মেধাবী ও গুণী অভিনেতা। তার রুচিবোধ অত্যন্ত প্রখর। আর পূর্ণিমা তো মাল্টিট্যালেন্টেড লেডি। বিশেষ করে তার সেন্স অব হিউমার, কৌতুক ও রসবোধ আমায় মুগ্ধ করে। তাই ‘টফি স্টার সার্চ’ এর জাজ প্যানেলে তাদের দুই জনের সঙ্গে কাজ করা আমার জন্যে দারুণ এক অভিজ্ঞতা হবে বলে আশা করছি।  

প্রশ্ন: এটি একটি ভিন্নধর্মী ট্যালেন্ট হান্ট শো। বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করতে পারবে এই শো-তে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীদের সমানভাবে মূল্যায়ন করার পদ্ধতি কি হবে?

উত্তর: মূল্যায়ন পদ্ধতিটা এখনই পুরোপুরি বলা মুশকিল। আমরা যখন প্রতিযোগীদের উপস্থাপনা দেখবো তখনই একটি ধারণা তৈরি হয়ে যাবে। এখানে প্রত্যেক বিচারক আলাদা আলাদাভাবে মার্কিং করবেন প্রতিযোগীকে। সবচেয়ে বড় কথা আমরা কোন বিচারক কোন প্রতিযোগীকে কতো মার্ক দিলাম সেটাও সবাই দেখতে পাবে। যে কারণে জাজদেরও অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে নম্বর দিতে হবে।

প্রশ্ন: টফি একমাত্র দেশীয় প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবহারকারীদের নিজেদের বানানো ভিডিও আপলোড করার সুযোগ দিচ্ছে। এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের সুযোগও পাবে তারা। এই ধরনের একটি দেশীয় উদ্যোগকে আপনি কীভাবে দেখেন?

উত্তর: টফির বড় একটা দিক হলো এতে প্রতিভা প্রদর্শনের মাধ্যমে আর্থিকভাকে স্বাবলম্বী হওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে। আমাদের একটা বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেছে যে, প্রচুর পড়াশোনা করে ক্লাসে ফার্স্ট হয়ে ভালো চাকরি পেয়ে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী  হতে হবে। সেই জায়গা থেকে টফি আপনাকে পথ দেখাচ্ছে যে আপনি নিজের প্রতিভাকে পুঁজি করেও অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটা দারুন ব্যাপার। তবে আমি এখানে কোনোভাবেই চাকরি করাকে নিরুৎসাহিত করছি না।

প্রশ্ন: ‘টফি স্টার সার্চ’ এ প্রতিযোগীদের কন্টেন্ট বানানোর ক্ষেত্রে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখা উচিত বলে আপনি মনে করেন?

উত্তর: প্রত্যেক প্রতিযোগীর কোনো নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে অংশ নেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত আসলেই তিনি সেটাতে পারদর্শী কি না। একটি রিয়েলিটি শো হচ্ছে, অনেকে অংশ নিচ্ছে তাই আমিও অংশ নিলাম - বিষয়টা যেনো এমন না হয়। যে প্রতিভাটা আপনি দেখাতে চাইছেন সেটার বেসিক আপনাকে জানতে হবে। ‘টফি স্টার সার্চ’ এর বিচারকরা প্রতিযোগীদের মার্কিংয়ের ক্ষেত্রে তাদের সর্বোচ্চ বিচক্ষণতা প্রয়োগ করবেন। সেই জায়গা থেকে প্রতিযোগীদের আমি বলতে চাই যে, কেউ যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী না হয়ে সেটা করে দেখাতে চান তাহলে সেটা ধরা পড়ে যাবে।

প্রশ্ন: আপনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করছে বাংলাদেশ। আপনার অনুভূতি জানতে চাই।

উত্তর: এই যে আমি তারিক আনাম খান। নাম বললে কিছু মানুষ আমায় চেনে। এটা আমি বাংলাদেশের জন্ম না হলে হতো না। আমার যতোটুক অর্জন তা বাংলাদেশ হয়েছে বলেই। আমি আশাবাদী মানুষ। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেব বলবো যে, শোষণহীন ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্যে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম, তা পুরোপুরি অর্জিত হয়তো হয়নি। তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি দুর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে এই এগিয়ে যাওয়া আরও ত্বরান্বিত হবে। সব শেষে বলবো যে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেখতে পারা একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার জন্যে অনেক গর্বের।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।