ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

পাবনায় সিনেমা ব্যবসার সাক্ষী ‘রূপকথা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
পাবনায় সিনেমা ব্যবসার সাক্ষী ‘রূপকথা’

পাবনা থেকে ফিরে: একসময় দেশে ১২শ’ মতো প্রেক্ষাগৃহ ছিল। কিন্তু সেটা এখন নেমে এসেছে দেড়শ’তে। যার প্রভাব পড়েছে পাবনাতেও।

পাবনা শহরের সবচেয়ে প্রাচীন প্রেক্ষাগৃহ ‘রূপকথা’। প্রায় অর্ধশত বছরেরও বেশি সময় ধরে এটি শহরের দর্শকের সিনেমা দেখার চাহিদা পূরণ করে আসছে।

অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গেলেও সিনেমা ব্যবসার সাক্ষী হয়ে এই মন্দা সময়েও চলছে প্রেক্ষাগৃহটি।

'রূপকথা' প্রেক্ষাগৃহে ৪২ বছর ধরে কাজ করছেন ফজলুর রহমান। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে মোবাইল ছিল না, টেলিভিশন ছিল না। দর্শক প্রেক্ষাগৃহে সময় কাটাতে আসতেন, বিনোদনের চাহিদা পূরণ করতেন। এখন তো বিনোদনের অনেক কিছু আবিষ্কার হয়েছে। সেজন্যই প্রেক্ষাগৃহে তেমন মানুষ আসে না।

তিনি জানান, আগে পাবনা শহরে প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা ছিল ৪টি। এর মধ্যে ছিল বীণা, বাণী, অনন্ত ও রূপকথা।  এখন শুধু একটি প্রেক্ষাগৃহই রয়েছে।  

'আমি ছোট বেলা থেকেই দেখেছি এখানে দর্শকের উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু সেদিন আর নেই। সেই সোনালি দিন চলে গেছে।

সিনেমার দর্শক কম হওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে যেসব নায়ক-নায়িকা ও পরিচালক ছিল, এখন তেমন নেই। দর্শকদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই দর্শকও প্রেক্ষাগৃহ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

জানা যায়, আগে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় প্রেক্ষাগৃহ ছিল ২৬টি। এর মধ্যে পাবনা সদরে 'বীণা', 'রূপকথা', ভাঙ্গুড়া উপজেলায় 'মৌচাক' ও চাটমোহর উপজেলায় 'লাভলী' প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের ভিড় বেশি হতো। কিন্তু একে একে বন্ধ হয়ে গেল এ জেলার ২৫টি হলই। চালু রয়েছে শুধুমাত্র একটি সিনেমা হল 'রূপকথা'। কিন্তু সেটাও চলছে ধুঁকে ধুঁকে।  

এছাড়া এক সময়ের জনপ্রিয় পাবনার 'অনন্ত' সিনেমা হলটি এখন গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। একই মালিকের 'রূপকথা' সিনেমা হল টিকে আছে কোনো রকমে।

বর্তমানে 'রূপকথা' প্রেক্ষাগৃহে চলছে 'ইন্দুবালা'। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দুপুরের শোতে সিনেমাটি দেখতে উপস্থিত ছিল মাত্র ৩০-৪০ জন দর্শক। যেখানে এই প্রেক্ষাগৃহে একসঙ্গে ৫০০ মানুষ সিনেমা দেখতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৯
জেআইএম/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।