ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মায়া মানে বাংলাদেশ: জ্যোতিকা জ্যোতি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
মায়া মানে বাংলাদেশ: জ্যোতিকা জ্যোতি জ্যোতিকা জ্যোতি-প্রাণ রায়

গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে মাসুদ পথিক পরিচালিত সিনেমা ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’। আসছে ২৭ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) জি-সিরিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে ‘মায়া- দ্য লস্ট মাদার’র ট্রেলার। এতে মায়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।

ট্রেলার প্রকাশের পর সিনেমাটিতে নিজের চরিত্র (মায়া) সম্পর্কে জানালেন জ্যোতি। বললেন, সিনেমাটির গল্প একজন বীরাঙ্গনার। এতে তার জীবন, সংসার ও অতীতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে। তার বড় সন্তান একজন যুদ্ধশিশু, যে নিঁখোজ- মায়ের খোঁজে আছে সে। তার ছোট মেয়ে ‘মায়া’ চরিত্র আমার।  

মা বীরাঙ্গনা হওয়ায় সংসার ভেঙ্গে যায় মায়ার। মায়ের সংসারই এখন মায়া ও তার দুই সন্তানের সংসার। বাড়িতে আশ্রিত আছে আরেক যুদ্ধশিশু, যার সঙ্গে মায়ার প্রেম। এদিকে গ্রামের চেয়ারম্যান, ইমাম সকলের নজর মায়ার শরীরে। এসবের মধ্যেই চলতে থাকে মায়ার জীবন সংগ্রাম। কৃষিকাজ করে সংসার চালায় মায়া। হালচাষ, পশুপালন থেকে শুরু করে ঘরের কাজ সবই সামলায় মায়া।

জ্যোতি জ্যোতি-প্রাণ রায়সমাজের কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় না দিয়ে একঘরে হয়ে আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচে আর নিজের যুদ্ধ চালিয়ে যায় মায়া। তবুও একদিন সমাজের অন্যায়-নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রাণ হারায় সন্তানসম্ভবা মায়া। পৃথিবীর আলোর মুখ দেখে না তার গর্ভের সন্তান। প্রশ্ন তৈরী হয় এই সন্তানের বাবা কে? এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প। চরিত্রটিকে এক কথায় বলতে বললে আমি বলবো, মায়া মানে বাংলাদেশ।  

তিনি আরও বলেন, ভীষণ কঠিন ও এক্সপেরিমেন্টাল এই চরিত্র আমার ক্যারিয়ারে নতুন পালক যোগ করবে বলেই আমার বিশ্বাস। এই সিনেমাতে অভিনয় করে গর্ববোধ করছি। কারণ এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই সিনেমা নির্মিত হয়েছে কিংবদন্তি শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের চিত্রকর্ম এবং প্রখ্যাত কবি কামাল চৌধুরীর কবিতা অবলম্বনে। আর ‘মায়া’ চরিত্রটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যরকম। সাধারন শ্রেণীর এক অসাধারন নারী মায়া যে পুরো বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে।

সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মুমতাজ সরকার (ভারত), প্রাণ রায়, দেবাশীষ কায়সার, সৈয়দ হাসান ইমাম, ঝুনা চৌধুরী, নারগিস আক্তার, লীনা ফেরদৌসী, ড. শাহাদাত হোসেন নিপু, আসলাম সানী ও মজিদ প্রমুখ।

২০১৬ সালে ‘মায়া - দ্য লস্ট মাদার’ নির্মাণের জন্য সরকারি অনুদান পায়। সে বছরই সিনেমাটির কাজ শুরু হয়। এর কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে তিন বছর। গত ৩ ডিসেম্বর ২ ঘণ্টা ৩ মিনিট ৭ সেকেন্ডের সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের সনদ পায়।

‘নেকাব্বরের মহাপ্রায়াণ’খ্যাত নির্মাতা মাসুদ পথিকের এটি দ্বিতীয় পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের সত্য গল্প নিয়ে এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্মিত হলো বাংলাদেশে। সিনেমাটিতে নতুন বাংলা, বাংলা মাকে পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মাসুদ পথিক।

ট্রেলার:

 

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।