জনপ্রিয় তারকা শবনম ফারিয়া বড্ড বাবাভক্ত। তার বাবা মীর আবদুল্লাহ পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন।
তবে বাবার সঙ্গে কাটানো স্মৃতিগুলো আজও অমলিন এই অভিনেত্রীর মনে। মাঝে মধ্যেই বাবাকে নানা কথা তুলে ধরেন সামাজিকমাধ্যমে। এবার বাবাকে হারানোর পর রমজান মাসে ইফতারের অনুভূতি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
শবনম ফারিয়া বলেন, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে রোজার মাসে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, ইফতার বাসায় করতে। যখন নিয়মিত কাজ করতাম, তখনও চেষ্টা করতাম ইফতারটা মার সঙ্গে করে আবার কাজে ফিরে যেতে! সেই উত্তরা থেকে শান্তিনগর এসে আবার ফিরে যাওয়া চাট্টি খানি কথা না!
তিনি বলেন, অথচ বাবা থাকতে ভাবতাম বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে বাইরে ইফতার করি, ঈদের আগে টানা কাজ, ২/১ দিন ব্রেক পাই, তখন বাসা থেকে বের হতে চাইলে বাবা-মা রাগ করে! সেসময় খুব বিরক্ত হতাম, খুবই অভিমান হতো “আমার বাবা-মা এমন কেন”। কিন্তু এই যে সবাই বলে ইফতারের মূল আইটেম পরিবার, সেইটা বুঝতে পেরেছি বাবা চলে যাওয়ার পর, তাই সর্বোচ্চ চেষ্টা করি মার সঙ্গে ইফতার করার।
বাবার মৃত্যুর পর শবনম ফারিয়ার বাসায় সেভাবে বিশেষ আয়োজনে ইফতার হয় না। সেই কথা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, বাবা চলে যাওয়ার পর গত সাত রোজায় আমাদের বাসায় কোনদিন কোন বিশেষ আয়োজন হয় না! শুধু মাত্র যদি আমার দুই দুলাভাইকে মা ইফতারে দাওয়াত দেয়, তাহলে হয়তো ভাইয়াদের জন্য মা একটুখানি আয়োজন করে কিন্তু বাবা থাকতে ইফতারের যে আমেজ, সেইটা বললে এখন শুনতে মনে হবে গল্প! কারণ আমার ইফতারের মূল আইটেম মিসিং!
যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার বাবা যেই চেয়ারে বসতো , অতিথি না আসলে সেই চেয়ারে এখনো কেউ বসে না, না চাইতেও চোখ চলে যায়! মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা এতক্ষণ ছিল, মাগরিব পরে আবার বসবে আমাদের দুজনের সঙ্গে ।
এভাবেই আরেকটা রমজান কেটে যাবে, বাবার মাগরিব থেকে ফিরে আসবে এই ভাবনাটা শেষ হবে না।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ছোট পর্দা পেরিয়ে ‘দেবী’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে শবনম ফারিয়ার। সবশেষ তাকে দেখা গেছে ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য়। সম্প্রতি একটি রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এনএটি