ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এবার চার কমিশনারকে আইন দেখালেন ইসি সচিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এবার চার কমিশনারকে আইন দেখালেন ইসি সচিব

ঢাকা: নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কমিশনকে পাশ কাটানোর অভিযোগ তুলে ইসি সচিব মো. আলমগীর সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে চার নির্বাচন কমিশনার প্রশ্ন তুলেছেন। শুধু তাই নয়, জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সাংবাদিকদের কাছে এক লিখিত বক্তব্যে বলেছেন- ‘অনিয়মের কারণে ইসির কার্যক্রম প্রশ্নের সম্মুখীন’। 

এসবের প্রতিক্রিয়ায় ইসি সচিব মো. আলমগীর সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তাদের আইন দেখিয়ে দিলেন।

তিনি বলেন, ‘এটা হানড্রেড পার্সেন্ট আইনসম্মত।

সংবিধান, আইন, বিধি ও নিয়মকানুন ফলো করে করা হয়েছে। এ নিয়োগে আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। এটা প্রথম নিয়োগ না, প্রতিবারই একইভাবে নিয়োগ হয়েছে। কখনও কমিশনে যায়নি বিষয়টা। বিষয়টি তো কমিশনারদের কাছে যাওয়ারই কথা নয়, বাইপাস হলো কীভাবে?

সচিব সংবিধান মানছেন না, প্রশ্ন তুললেন চার নির্বাচন কমিশনার আইন-বিধি তুলে ধরে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশনারবৃন্দ যেমন বলেছেন যে, কমিশনকে বাইপাস করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে উত্তর দিতে পারলাম- এটা কমিশনে যাওয়ার বিষয় নয়। আমরা আইনে দেখিয়ে দিলাম- এটা কমিশনের কাছে যায় না। ’

স্বাধীন নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইনের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরে তিনি জানান, ইসির সার্বিক নিয়ন্ত্রণ সিইসির কাছে ন্যস্ত থাকবে এবং সচিব ইসি সচিবালয়ের প্রশাসনিক দায়িত্ব দেখবেন। আইনের পুরোটাই পড়তে হবে সিইসি যদি প্রয়োজন মনে করেন, কোনো কিছু জানানোর দরকার হলে তিনিই কমিশনকে জানাবেন। সচিবকে জানানোর কিছু নেই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশনে কোনো দ্বন্দ্ব আছে বলে আমার জানা নেই। আমি সচিব হিসেবে সেটা ফিল করি না। নির্বাচন কমিশনার কেন বলেছেন তারাই ভালো বলতে পারবেন। আমি তো ডিটেইল বলে দিলাম। ’

আন অফিসিয়াল (ইউও) নোটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সিইসির কাছে তারা দিয়েছেন। সিইসি আমাকে বলেছেন- এ বিষয়ে আইন-কানুন যা আছে সব নিয়ে এ নিয়োগের বিষয়ে স্ট্যাটাস পেপারসহ আমাদের কাছে জমা দেন। সিইসি যদি প্রয়োজন মনে করেন কমিশনারের কাছে উপস্থাপন করবেন, আলোচনা করবেন। ’

ইসি সচিব বলেন, ‘নিয়োগকালীন আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। স্বচ্ছতার কোনো অভাব আছে বলেনি। গণমাধ্যম, দল, নেতা, জনগণ, কর্মকর্তা-কর্মচারি কেউ করেননি। ফল দেওয়ার ছয় দিন পরও অভিযোগ করেনি। এরপরও কাজে কোনো অনিয়ম হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ দেখবে। ’

স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে পুরো নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার বাধ্যবাধকতা আছে। সব বিষয়ে জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে অবহিত করতে হবে। প্রশাসনিক হেড সচিব, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ সিইসি। নির্বাচন সংক্রান্ত যে বিষয় এর পুরো বিষয় কমিশন থেকে অনুমোদন নিতে হবে। পুরো ইসিও সচিবালয়ের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেটা কীভাবে? সরাসরি নয়, তারা যদি বলেন সচিব এ তথ্যটা দেন, তাহলে আমি দিতে বাধ্য। এ নিয়োগ কীভাবে হয়েছে সমস্ত কাগজপত্র দেখান, দেখাতে হবে। ’

চার নির্বাচন কমিশনারের অভিযোগ ভিত্তিহীন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘তাদের বিবেচনা যেটা ভালো মনে করেছেন বলেছেন, নিয়োগ নিয়ে এটা তো প্রথম প্র্যাকটিস না। প্রতিটি নিয়োগেই এভাবে হয়েছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
ইইউডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।