আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠেয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পোস্টার ছাপার কাজ শুরু হওয়ায় ব্যস্ততা বেড়েছে ছাপাখানায়; জমে উঠেছে মাইক ব্যবসাও।
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) সরেজমিনে মহানগরীর বিভিন্ন ছাপাখানা, মাইকের দোকান ও ডিজিটাল প্রিন্টিং ফার্ম ঘুরে দেখা গেছে, শ্রমিকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।

প্রচারকর্মী ইজিবাইক চালক আসিফ প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মাইকিংয়ের গাড়ি চালিয়ে ৬শ’ টাকা পান বলে জানান।
মধুমতি মুদ্রাণালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, পোস্টার-লিফলেট ছাপানোকে কেন্দ্র করে কর্মীরা পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন, তাদের মাঝে আনন্দের আমেজ বিরাজ করছে। প্রার্থীরা পোস্টার ও লিফলেট ছাপাতে শ্রমিকরা হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
লোয়ার যশোর রোডের সুমন সাউন্ড অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের মালিক আমিনুর রহমান সুমন বলেন, অন্য সময়ের চেয়ে নির্বাচনের মওসুমে আমাদের মাইক ভাড়া বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে ৫০টি মাইক ভাড়া হয়ে গেছে। প্রতিটি মাইক ভাড়া দিন প্রতি ৫শ’ টাকা।
তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীরা অনেকে মাইক ও হ্যান্ড মাইকের দাম কম হওয়ায় কিনে নিয়েও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।
পিসি রায় রোডের মিডিয়া মাইক অ্যান্ড সাউন্ডের প্রোপ্রাইটর শেখ মারুফ হোসেন বলেন, আমার ২০টি মাইক প্রার্থীরা ভাড়া করে নিয়ে গেছেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ওগুলো ভাড়াতেই চলবে।
মহানগরীর স্যার ইকবাল রোডের ডিজিটাল প্রিন্টিং ফার্ম শিল্পরঙের মালিক ওমর ফারুক রাজু বলেন, বর্তমান সময় ডিজিটাল যুগ। ঝড়-বৃষ্টির কারণে কাগজের পোস্টার ছিঁড়ে যায়। ফলে বারবার পোস্টার তৈরি করতে হয়। এতে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমন অর্থেরও অপচয়। কিন্তু ডিজিটাল ব্যানার তৈরি করলে এসব সমস্যা থাকে না। যে কারণে প্রার্থীরা এখন ডিজিটাল সাদা-কালো প্যানা-সাইন, ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনের দিকে ঝুঁকেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৮
এমআরএম/এমজেএফ