ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬ রজব ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটারদের বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২৫
ভোটারদের বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই: সিইসি প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, ভোটারদের বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। কমিটমেন্টে (অঙ্গীকার) অটল আছি।

সবার সহযোগিতা চাই।

রোববার (০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত ১৮ কোটি মানুষ। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি- তাদের বঞ্চনা যেন ঘোচাতে পারি। তারা যে বঞ্চিত হয়েছেন, ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তা ঘোচাতে চাই। বঞ্চনার কষ্ট দূর করতে চাই। আমাদের কমিটমেন্টে (অঙ্গীকার) অটল আছি। সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নতুন ভোটার তথ্য সংগ্রহের এ কাজে সবার সহযোগিতা চাই। ধাপে ধাপে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর পৌনে এক লাখ লোকবলকে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে।

সিইসি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়েছে, আমরাও ক্রান্তিকালীন সময়েরই নির্বাচন কমিশন। দায়িত্ব ছাড়াও দেশবাসীর প্রত্যাশা সরকারের কাছে বেশি, আমাদের কাছেও বেশি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইন-কানুনের বিভিন্ন জায়গায় হাত দিতে হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করছি। এজন্য পুরোনো মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, সব সংস্কারের বড় সংস্কার নিজের আত্মাকে সংস্কার করা। মন-মগজ সংস্কার না হলে আখেরে ভালো কিছু বয়ে আনবে না। আমাদের মন-মানসিকতায় সংস্কার আনতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের সংস্কার কাজের অনেক কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের এখানে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন রয়েছে। তারা যে সুপারিশ দেবে, তাতে আমাদের বিধিবিধান, আইন-কানুনে পরিবর্তন আনতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের কমিটমেন্ট হলো, ফ্রি-ফেয়ার-ক্রেডিবল ইলেকশন জাতিকে উপহার দেওয়া। আমি প্রায়ই বলি, আমাদের বঞ্চিত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসনে যাচ্ছেন, আন্দোলন করছেন, তাদের বঞ্চনার তথ্য তুলে ধরছেন, দেশের ১৮ কোটি বঞ্চিত মানুষ কোথায় যাবেন? সামনে নির্ভুল ভোটার তালিকার পাশাপাশি ও নির্বাচনে সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেন, ভোটে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে স্বচ্ছতা এবং দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। ভোটার তালিকা হালনাগাদে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনার তাহমিদা আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের হাতিয়ার হবে আইন ও বিবেক। ইসির কোনো কর্মকর্তা দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করলে সেই দায় কমিশন নেবে না।

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, নির্বাচন যেভাবে কলুষিত হয়েছে, তা পুনরুদ্ধারে যা যা করা লাগে তার সবটুকুই করবে কমিশন। ভোটার হালনাগাদে অনিয়ম, অবহেলা, অস্বচ্ছতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (অব.) বলেন, টাকা অর্জনের মোটিভ নিয়ে যাতে কেউ ভোটার তালিকা অন্তর্ভুক্তির কাজে অংশ না নেন। মৃত ভোটার, ভুয়া ভোটার এবং নতুন ভোটার- সবার ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করতে হবে। ভোটের প্রতি মানুষের যে অনাগ্রহ, সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসতে পারবে কমিশন। মানুষের মধ্যে যে আস্থার ঘাটতি ছিল তা কমে এসেছে, মানুষ এবার ভোট দিতে চায়, তা এবার কাজে লাগানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২৫
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।