ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা পেলেন জয়, হারলেন মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীরাও 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা পেলেন জয়, হারলেন মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীরাও 

ঢাকা: দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতাও জয় তুলে এনেছেন ঘরে। অন্যদিকে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের (এমপি) আশীর্বাদ পেয়েও ছিটকে পড়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী।



জানা গেছে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিন নম্বর হয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ভাই গোলাম সারোয়ার। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এই প্রার্থী টানা তিন মেয়াদে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।  

নির্বাচনের ফলাফল বলছে, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু। তিনি হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২০ হাজার ৮৬৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন আনারস প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৭৯০ ভোট পেয়েছেন। আর তৃতীয় হিসেবে গোলাম সারোয়ার পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩১৪ ভোট।

এদিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের মেয়ে কানতারা খান সমর্থিত প্রার্থী ব্যবসায়ী আবুল কাশেম রাজ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২৮ হাজার ৫৪২ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। এই উপজেলা নির্বাচনে মো. কাবির খান ৫৪ হাজার ৫৫৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। ৪২ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে এম এম মহিউদ্দিন আহমেদ দ্বিতীয় হয়েছেন।

আবার গাইবান্ধা সদর উপজেলায় সংসদ সদস্য শাহ সারোয়ার কবীর সমর্থিত প্রার্থী মো. ইস্তেকুর রহমান সরকার, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি সমর্থিত প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার ও শরীয়তপুর সদরে সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাতো ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া জয় তুলে আনতে পারেননি।  

কক্সবাজারের সাবেক এক এমপি যেন কূল-কিনারাই হারিয়েছেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাফর আলম। ২০২৪ সালে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কাছে হেরে যান। সেই পরাজয়ের গ্লানি দূর করতে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়েন। কিন্তু এতেও হেরে যান জাফর আলম।  

অন্যদিকে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা (সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক) মুজিবুর রহমান চৌধুরী শেফু জয় তুলে এনেছেন।

তিনি বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের অপর সাংগঠনিক সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরীকে হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২৪
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।