ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গণমাধ্যমকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
গণমাধ্যমকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, গণমাধ্যমকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না।

এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ক্ষমতা নয়, দায়িত্বটিই আমাদের নিতে হয়। ক্ষমতা শব্দটিকে যদি আমরা পরিহার করতে পারি, তাহলে দেশে সমাজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনেক সময় কিন্তু রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলো কাজ করে না, তখন সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একাই করে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখে।  

তিনি বলেন, গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃণা করি। যখন আমাদের প্রশংসা করা হয়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে, প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এ সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটিই গণমাধ্যমের ভূমিকা।

সিইসি বলেন, আমি দেশের গণমাধ্যমের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। অনেক পেপার-পত্রিকা পড়ি, চ্যানেলগুলো দেখি-  আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা যে খুব নেতিবাচক, তা বলা যাবে না। আমি তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে যাই, যখন আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকে- এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমার বিরুদ্ধে বা সরকারের বিরুদ্ধে থাকলেও গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব আছে। বিশ্বের দিকে যদি দেখি, ক্ষমতার যে শক্তি, সেই শক্তি যে কত বড় শক্তি, তা আমরা গাজায় দেখেছি। গণমাধ্যম আমাদের জাগ্রত করে রেখেছে। আমরা অনেক সময় চোখের পানিও ফেলি। গণমাধ্যম যদি ব্ল্যাকআউট করে দিত, তাহলে গাজায় কী হচ্ছে, আমরা জানতাম না।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বস্তুনিষ্ঠতা খুব কাম্য। আরেকটি হলো অতিরঞ্জন। এটিকে আমি মন্দভাবে দেখি না। অতিরঞ্জনের মধ্যে সাহিত্যের উপাদান থাকে। কিন্তু, বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। কমিশন কতটা দায়িত্ব পালন করছে, সরকার কতটা সহায়তা করছে, কী করছে না, এগুলো প্রচার হলে সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে সিইসি বলেন, অনেক সময় এটি আদায় করে নিতে হয়। স্বাধীনতা সবসময় থাকবে না। তবে স্বাধীনভাবে কাজ করলে সবসময় চাপ আসবে, তা নয়। গণমাধ্যমের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে কাজ করতে হবে। উন্নত বিশ্বে শাসকদের ঠিক জায়গায় রাখতে গণমাধ্যমে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

নির্বাচন কমিশনের খবর সংগ্রহকারী সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি-আরএফইডির পুরোনো কমিটির দায়িত্ব হস্তান্তর ও নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিব ও সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আয়োজন সংগঠকের নেতা ও সাধারণ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৪
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।