ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে তৎপর ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে তৎপর ইসি নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ভয়ভীতিহীন নির্বাচন ও ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ তৎপর। নিজেদের মেয়াদের প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বুুধবার (০১ মার্চ) লিখিত বক্তব্য এমন তৎপরতার কথা জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে. (অব.) আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; এর সিহংভাগই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ তো আসেনি এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতেও দ্বারস্থ হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া প্রসারিত করেছে।

নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

ওই কমিশনার বলেন, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটির বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর। সারাবছরই ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও সারাবছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের এনআইডি সেবাও সহজীকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ইসির মত হচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যেকোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি পরাজয় মেনে নেওয়া প্রবণতা থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু ভালো নির্বাচন করবো; কিন্তু যিনি বা যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার।

ভোট নিয়ে কল্পনাপ্রসূত কোনো শঙ্কার বশবর্তী হয়ে নির্বাচন বর্জনের সংস্কৃতিও কাঙ্ক্ষিত নয় বলে মন্তব্যও করেন তিনি।

আহসানন হাবিব খান বলেন, সব দলকে ভোটের আসার বিষয়ে ইসির আহ্বান বরাবরই অব্যাহত থাকে জানিয়ে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটাধিকার মুখের কথা নয়, এটাকে অর্থবহ করতে আমাদের সব ধরনের উদ্যোগ, সর্বোচ্চ সদিচ্ছা থাকবে। আমরা চাই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনসহ সব নির্বাচন হোক অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক।  

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেন, ভোটে আসেন সবাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। গোলযোগ, সহিংসতা পরিহার করতে হবে; নির্বাচন কমিশনও অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থান রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের মাঠেও ভারসাম্য থাকবে। ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।

ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচনী এজেন্টদের বাধা-বিপত্তিতে শাস্তি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে এ কমিশন।

ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান জানান, ভোটাররাও উৎসবমুখরভাবে কেন্দ্রে আসবেন, নিরাপদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ঘরে ফিরে যাবেন।

ভোটার দিবসেই শুধু নয়, আমরা সব সময় আশ্বস্ত করতে চাই- আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করবো। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি। ভালো নির্বাচনও উপহার দিতে সক্ষম হবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।