ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

শিক্ষা

পুরান ঢাকায় জবি শিক্ষার্থীদের হামলা, আহত ৭

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৫
পুরান ঢাকায় জবি শিক্ষার্থীদের হামলা, আহত ৭

জবি: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে। এতে কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে।

আহতরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

জানা যায়, সোমবার (৩ মার্চ) দিনগত রাতে রাস্তায় নির্মাণাধীন ঢালাইয়ের ওপর পা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এদিকে আহত শিক্ষার্থীরা দাবি করছেন স্থানীয় এক প্রভাবশীল নেতার নেতৃত্বে তাদের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাট ধোলাইখাল এলাকার একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে নির্মাণাধীন এক ঢালাইয়ের ওপরে পা দেন। এনিয়ে স্থানীয়দের সাথে তার কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর স্থানীয় লোকজন মিলে এই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করে।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের কল দিলে তার বন্ধু হাবিবসহ আরও দুইজন ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর স্থানীয় লোকজন হাবিবসহ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করে আটক করে রাখে। জবির শিক্ষার্থী আটকে রাখার ঘটনা ফেসবুকে ছড়ালে ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকা কয়েকশ শিক্ষার্থী তাদের ছাড়াতে ঘটনাস্থলে যায়, এরপরই আবারও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন স্থানীয়রা।

রাতভর চলা দুই পক্ষের সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে র‍্যাব ও পুলিশের কয়েকশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় স্থানীয় কয়েকটি বসতঘর ও পঞ্চায়েত ক্লাবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলেন, ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সম্রাটকে বিনা কারণে মারধর করে এবং তাকে রক্ষা করার জন্য কয়েকজন গেলে তাদেরও মেরে আটকে রাখে। পরবর্তী আমরা ক্যাম্পাস থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমাদের ওপর তারা হামলা চালায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখার সাহস তারা কিভাবে পায়। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাই।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তাজাম্মুল হক বলেন, ঘটনা শোনার পরে আমি কোতোয়ালি, সূত্রাপুর, বংশাল, ওয়ারি থানা সবাইকে কল দিয়েছি। তারা ফোর্স পাঠিয়েছে। আটকে রাখা শিক্ষার্থীকে তারা ছেড়ে দিয়েছে। এর নেতৃত্বে হামলা হয়েছে তাকে ধরার জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে পুলিশ ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জবি এক শিক্ষার্থী মারধর করে আটকে রাখেন ধোলাইখালের স্থানীয়রা। এরই জেরে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা দাওয়া ও সংঘর্ষ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা দাবি করেন স্থানীয় এক প্রভাবশীল নেতৃত্বে এ হামলা হয়। রাত ৩টার ৩০ মিনিটে পুলিশ ও র‌্যাবের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

এদিকে এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বাদ জোহর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।