ঢাকা, সোমবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

শিক্ষা

জবিতে এবার ৩৯ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫
জবিতে এবার ৩৯ মণ্ডপে সরস্বতী পূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি মণ্ডপের কাজ চলছে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসজুড়ে ৩৯টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সরস্বতী পূজা। ইতোমধ্যে প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ, এখন চলছে সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

শিক্ষার্থীরা মণ্ডপ সাজাতে ব্যস্ত, কেউ বাঁশ, কর্কশিট বা রঙিন কাগজ দিয়ে, কেউ তুলির আঁচড়ে প্রতিমা ও মণ্ডপ সাজাচ্ছেন মনোরমভাবে।  

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বাণী অর্চনা, আরতি ও ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলির মাধ্যমে দেবী সরস্বতীর পূজা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে মণ্ডপ সাজানোর কাজে ব্যস্ত। ৩৭টি বিভাগ, একটি ইনস্টিটিউট এবং ছাত্রী হলসহ পৃথক পৃথকভাবে ৩৯টি মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এ বছর আমাদের মণ্ডপ সংখ্যা বেড়েছে। ৩৭টি বিভাগ, একটি ইনস্টিটিউট ও একমাত্র ছাত্রী হলসহ মোট ৩৯টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন হবে। ছাত্রী হলের মণ্ডপটি হলের ভেতরেই করা হবে। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই সব মণ্ডপ প্রস্তুতির কাজ শেষ করবে সংশ্লিষ্টরা।

তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলার বিষয়েও সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে প্রক্টরের সঙ্গেও আমাদের বৈঠক সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, পূজা সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। রাত ৮টায় সাউন্ড সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়াও পুরান ঢাকার স্থানীয় মানুষ ও আশপাশের এলাকার মানুষজনও এই পূজায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। আশা করছি, কালও সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে জমজমাট আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে আমরা পূজা সম্পন্ন করতে পারব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী লাবণ্য কুমার রায় বাপ্পী বলেন, সরস্বতী পূজা মানেই আমাদের জন্য একটা বিশেষ আনন্দের দিন। দেবীর কাছে প্রার্থনা করি যেন আমাদের জ্ঞান ও সৃজনশীলতার পথ উন্মুক্ত হয়। বিভাগের সবার সঙ্গে মণ্ডপ সাজানো থেকে শুরু করে অঞ্জলি দেওয়া-সবকিছুই স্মরণীয় হয়ে থাকে।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জয়ন্তী রায় বলেন, এটা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একসঙ্গে সবাই মিলে পূজা উদযাপন করার আনন্দই আলাদা। প্রতিমা সাজানো, আলোকসজ্জা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত।

ইংরেজি বিভাগের মহাশ্বেতা রায় মিতু বলেন, আমি প্রতি বছর মা সরস্বতীর পায়ে খাতা-কলম রেখে আশীর্বাদ নিই। মা যেন আমাদের পড়াশোনায় ভালো ফল করতে সাহায্য করেন, সেই প্রার্থনা করি। পূজার সাজসজ্জা, মেলা আর প্রসাদ খাওয়া—সবকিছুই অনেক মজা লাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, পূজাকে কেন্দ্র করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তা টিম ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক নজরদারি করবে। ক্যাম্পাসজুড়ে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করা হবে। রাত ৮টার মধ্যে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।