ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় শিশুদের পোশাকের গলাকাটা দাম

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
খুলনায় শিশুদের পোশাকের গলাকাটা দাম ছবি: মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: প্রজাপতির ডানা, কাপড়ের ফুল, টুনটুনি পাখি মোটিফের জামা পছন্দ ৭ বছরের মিমির। পছন্দ অনুযায়ী জামাটি মিলে গেলো বেবি চয়েজে।

কিন্তু জামা নিয়ে মূল্য দিতে গেলেই বাবা আব্দুর রহমানের মাথায় হাত উঠে গেলো। দোকানি ছোট শিশুর জামার দাম হাঁকছেন ৫ হাজার টাকা। শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে  ৪ হাজার টাকায় কিনতে হলো পোশাকটি।

সুলতানা রহমানের মেয়ে আফসানা রহমান। সে কিছুতেই মায়ের পছন্দের পোশাক কিনবে না। মা জানালেন, মেয়ে সারা দিন ডোরেমন কার্টুন দেখে। ঈদে পোশাক কেনার সময়ও বায়না, কার্টুনের সিজুকার মতো পোশাক কিনে দিতে হবে। তাই আবুল ব্রাদার্স থেকে মেয়ের পছন্দের জামা কিনেছেন সাড়ে ৫ হাজার টাকায়।

রোববার (১২ জুলাই) সন্তানদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসে আব্দুর রহমান ও সুলতানা রহমান জানান, শিশুদের পছন্দের পোশাকের বায়না মেটাতে অনেকে পরিবার হিমশিম খাচ্ছেন।

তাদের অভিযোগ, এবার ঈদে দোকানিরা শিশুদের পোশাকের গলাকাটা দাম নিচ্ছেন।
একইভাবে খুলনা মহানগরীর নিউ মার্কেট, মিনা বাজার, সেফ অ্যান্ড সেভ, আড়ং, জলিল সুপার মার্কেট, রেলওয়ে মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মার্কেট, হ্যানিম্যান মার্কেট, খুলনা বিপনি বিতান, খান টাওয়ারসহ অভিজাত মার্কেটগুলোর দোকানগুলোতে শিশুদের পোশাকের দাম আকাশছোঁয়া বলে দাবি করছেন অভিভাবকরা।

বিক্রেতারা বলেন, এ বছর বর্ষা ও গরমে ঈদ হওয়ায় সুতি কাপড়ের প্রাধান্য বেশি। শিশুর নরম ত্বকের জন্যে অভিভাবকরা সব সময় সুতি কাপড়ের পোশাককেই প্রাধান্য দেন।

তারা আরও বলেন, ছেলে শিশু এবং মেয়ে শিশুরা তাদের পছন্দের কার্টুনের চরিত্রগুলোকে পোশাকে ফুটিয়ে তুলতে চায়। কার্টুন, সুপারম্যান, বার্বিডলের মতো নিজেকে সাজিয়ে তুলতে চায়। মেয়ে শিশুরা অনেক সময় পরিবারের বড় সদস্যের মতো সালোয়ার-কামিজ পরতে আগ্রহ দেখায়। অন্যদিকে ছেলে শিশুরা ঈদের নামাজে যেতে পাঞ্জাবির বায়না ধরে। সব বিষয় মাথায় রেখেই শিশুর পোশাক আনা হয়েছে।

নিউ ফ্যাশন হাউজের মালিক আল-আমিন বলেন, গরমে ঈদ হওয়ায় বাচ্চাদের মায়েরা সুতি কাপড় ছাড়া অন্য কোনো কাপড়ের পোশাক শিশুদের পরাতে চান না। যার কারণে সুতি কাপড়ের দিকেই প্রাধান্য দিয়েছি। আর রঙের মধ্যে আকাশি, পিঙ্ক, অফ-হোয়াইট, হাল্কা বেগুনি এসব রঙের পোশাক বেশি চলছে। তবে গাঢ় রঙের পোশাকও ঈদের জন্যে কিনছেন অনেক অভিভাবক। শিশুরা অনেক সময় গাঢ় রঙটির দিকে হাত তুলে চায়, তারা লাল, নীল হলুদ এসব রঙ বেছে নেয়। তাই এসব দিক মাথায় রেখে আমরা এসব রঙের কিছু এক্সক্লুসিভ পোশাক রেখেছি। তবে দাম কিছুটা বেশি।   

ভালো মাল নিলে দামতো একটু বেশি হবে বলে হেসে দেন তিনি।   
     
বেবি চয়েজের দোকানি কামরুল ইসলাম বলেন, গরম আবার বৃষ্টি- এ বিষয়কে মাথায় রেখে আমরা রকমারি ডিজাইনের বিভিন্ন পোশাক এনেছি। বিক্রি হচ্ছে ভালো। তবে বেশি দামে কিনে আনার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৫
এমআরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।