ঢাকা, শুক্রবার, ৭ চৈত্র ১৪৩১, ২১ মার্চ ২০২৫, ২০ রমজান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আইসিসিবির মুখরোচক ইফতারে মজেছেন ভোজনরসিকরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
আইসিসিবির মুখরোচক ইফতারে মজেছেন ভোজনরসিকরা আইসিসিবির পুরান ঢাকার ইফতার বাজারে বাহারি পদের ইফতার। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাজধানীর কুড়িলে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) নবমবারের মত ভোজনরসিকদের জন্য বসেছে পুরান ঢাকার মুখরোচক সব ঐতিহ্যবাহী ইফতারের বাজার।

এই বাজারের প্রধান আকর্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে চিকেন শাসলিক, বিফ হালিম, মাটন হালিম, চিকেন ললিপপ, চিকেন নাগেটস, মাটন লেগ রোস্ট, চিকেন পেটিস, ফিরনি, জিলাপি, বেগুনি, পিয়াজু, ছোলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস ও শরবত।

 

এসব খাবারে মজেছেন ভোনজরসিকরা। তারা আইসিসিবির ইফতারের মান ও স্বাদ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। ক্রেতাদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, আইসিসিবির ইফতারের স্বাদ অতুলনীয়। এখানকার পরিবেশও খুব সুন্দর। তাই পরিবার-পরিজন নিয়ে ইফতার করার জন্য এটি একটি আদর্শ জায়গা।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে সরেজমিনে আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলে গিয়ে দেখা যায়, খাবারের স্টলে স্টলে ভিড়। এখানে বিরিয়ানিপ্রেমীকদের জন্য রয়েছে মাটন কাচ্চি (বাসমতি ও চিনিগুড়া), মোরগ পোলাও, বিফ তেহারি। রোস্টপ্রেমীদের জন্য চিকেন ও মাটনের নানান পদ; আর কাবাবের সমারোহে রয়েছে চিকেন রেশমি, হরিয়ালি, তান্দুরি, বিফ শিক কাবাবের মতো আইকনিক পদ। এছাড়া হান্ডি কাবাব, ডিম চপ, কালোভুনা, মাটন হালিমের মতো পুরান ঢাকার বিশেষ আইটেমও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।  

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তানজিম আহমেদ বলেন, প্রতি বছরই আইসিসিবিতে ইফতার করতে আসি, কিন্তু এবারের মেন্যুতে বৈচিত্র্য চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে কাবাব আইটেমগুলো খুবই স্বাদের।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গৃহিণী মিতা খান বলেন, শুধু খাবারই নয়, এখানকার পরিবেশও খুব ভালো, পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটানোর আদর্শ জায়গা।

আইসিসিবির চিফ অপারেটিং অফিসার এম এম জসিম উদ্দিন বলেন, আইসিসিবিতে মাসব্যাপী ইফতারের এবারের আয়োজনটি নবম। এর আগে আটবার এই ইফতার বাজার বসেছিল। আমাদের কনসেপ্ট ছিল পুরান ঢাকার যে বাহারি ইফতার সেটাকে নতুন ঢাকার মানুষের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। যেহেতু এই অঞ্চলের মানুষের পুরান ঢাকায় যাওয়া খুব কঠিন। তাই তারা পুরান ঢাকার ইফতারের স্বাদ নিতে পারেন না। যে কারণে আমরা এখানে পুরান ঢাকার ইফতারের ব্যবস্থা করেছি।  

তিনি বলেন, আইসিসিবি তার নিজস্ব শেফ এবং পুরান ঢাকার শেফ দিয়ে ইফতার আইটেম তৈরি করে। এখানে পরিবেশ ভালো এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আরামে ইফতার করা যায়। আমাদের ইনডোরে চল্লিশ জন লোকের ইফতার করার সুব্যবস্থা আছে। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে এখানে হাইজিনটা খুব ভালোভাবে মেনে চলা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৫
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।