ঢাকা: বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত বা আমদানিতব্য চাল স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত বা আমদানিতব্য চাল স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখাসহ খাদ্য নিরাপত্তা বলয় সুসংহত রাখার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিকভাবে জিটুজি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানি করা হয়। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের আওতায় বৈদেশিক উৎস থেকে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল পাওয়া ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এমতাবস্থায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ঘাটতি পূরণ, সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা ও নিরাপত্তা মজুদ নিশ্চিতকরণের স্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে ১ লাখ টন চাল বৈদেশিক উৎস থেকে বেসরকারি খাতে আমদানিকৃত বা আমদানিতব্য স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে ক্রয়ের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে। এ ক্রয় করা চালের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে।
সূত্র জানায়, ২০০৭, ২০০৮ ও ২০১৭ সালে বৈদেশিক উৎস থেকে স্থানীয় দরপত্রের মাধ্যমে চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছিল। বর্তমান অর্থবছরে সরকারি পর্যায়ে চালের মোট চাহিদা ধরা হয়েছে ৩৯.৭৮ লাখ টন। সর্বশেষ গত ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে খাদ্য মজুদ আছে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৯০৩ টন চাল এবং ৩ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৯ টন গমসহ মোট ১২ লাখ ৮১ হাজার ২৬৫ টন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৫
জিসিজি/আরবি