ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ভারতীয় পতাকা বানিয়ে গফফর চাচার রেকর্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২২
ভারতীয় পতাকা বানিয়ে গফফর চাচার রেকর্ড নিজের তৈরি পতাকা হাতে গফফর চাচা

কলকাতা : গফফর মালিক, ৭১ বছর বয়সী এ ব্যক্তি ভারতীয়দের কাছে পরিচিত গফফর চাচা নামে। নিজ কাজে তিনি এতটাই মাহির, বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন যুগ যুগ ধরে।

গত ৬০ বছর ধরে ভারতের তেরঙ্গা তৈরি করে আসছেন তিনি।

গফফরের হাতে তৈরি পতাকা উঠেছে ভারতের কিংবদন্তীদের হাতে। দিল্লির সদর বাজারে ছোট একটি ঘরে বছরের পর বছর ধরে এ কাজ করে আসছেন তিনি।

গফফর চাচাকে নিয়ে চর্চা আগেও হয়েছে। হয়েছে সংবাদ প্রতিবেদন। এবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন গফফর চাচা। কারণ, মাত্র ছয়টি সংখ্যা। দেড় লাখ পতাকা একদিনে বানিয়েছেন তিনি।

১ লাখ ৫০ হাজার সংখ্যাটি মোটেও ছোট নয়। কিন্তু আগামী ১৫ আগস্ট ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা বর্ষে পদার্পণে এ সংখ্যার মহত্ব কয়েকগুণ।

এর আগেও রেকর্ড সংখ্যক গেরুয়া-সাদা-সবুজের পতাকা তৈরি করেছিলেন গফফর। এবার সে রেকর্ড ভেঙেছেন মোদী সরকারের ‘হার ঘর তেরঙ্গা’র কর্মসূচি পালনে। ভারত সরকারের ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ কর্মসূচির আওতায় প্রতিটি বাড়িতে পতাকা ওড়ানো হবে। ২০২১ সালের ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট। দিল্লিবাসী ওড়াবে গফফরের পতাকা।

এ ব্যাপারে গফফর চাচার সঙ্গে কথা হলে অতীতে ফিরে যান তিনি। জানান, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা থেকে অটল বিহারি বাজপেয়ী সরকার, আন্না হাজারের আন্দোলন থেকে ক্রিকেটের সৌরভ-ধোনী; সবকিছুর সাক্ষী তার তৈরি জাতীয় পতাকা। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবে দেশের ১০০ কোটি মানুষ পতাকা ওড়াবেন। যার মধ্যে থাকবে তার হাতে তৈরি পতাকাও।

তিনি বলেন, আমি দম ফেলার সময় পাচ্ছি না। ১৯৭৫ সালের পর এত পতাকার চাহিদা আগে কখনও দেখিনি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাধারণত আমরা দিনে চার থেকে পাঁচ হাজার পতাকা তৈরি করে থাকি। কিন্তু এ বছর আমরা প্রতিদিন লাখের বেশি তৈরি করেছি।

গফফরের কারখানায় ৬০০ জন কারিগর আছেন। তারা প্রতিদিনই ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে আয় করতেন। এবার এত বেশি পতাকার অর্ডার হচ্ছে, দৈনিক হাজার থেকে ১২০০ টাকা করে তাদের দিতে হচ্ছে। ফোনেও প্রচুর অর্ডার পাচ্ছেন। নাওয়া-খাওয়া ভুলে পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত তারা।

গফফর বলেন, দিন শেষে আমাদের অর্জন একটাই; দেশের পতাকা তৈরি করছি। অর্থ আয় করছি ঠিকই; কিন্তু আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করছি, আমাদের ইতিহাস-অর্জন সবকিছুই এই পতাকার জন্য। স্বাধীনতা দিবসে দেশের মানুষের জন্য পতাকা তৈরির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

বাংলাদেশ সময় : ১৮২৮ ঘণ্টা, ৮ আগস্ট, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।