ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

আগামী প্রজন্ম চাঁদে ট্যুরের স্বপ্ন দেখবে: মোদি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
আগামী প্রজন্ম চাঁদে ট্যুরের স্বপ্ন দেখবে: মোদি

কলকাতা: ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা বেজে ৪ মিনিটে সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটিতে অবতরণ করেছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এই সাফল্যে ভারতবাসীর সাথে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

যা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না। কারণ, প্রথম দিকে বাকি ভারতবাসীর মতোই তার মুখেও দেখা যাচ্ছিল উদ্বেগ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে হাসি ফোটে।

বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতেই হাততালি দিয়ে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর তাকে দেখা যায় ভারতের পতাকা দোলাতে। ভারত চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পর প্রথম প্রতিক্রিয়াতেই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মহাকাশের মাটিতে নতুন ভারতের উদয় হলো। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ইচ্ছেশক্তির জয় হলো।  

এরপরই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই সাফল্য শুধু ভারতের নয়, গোটা বিশ্বের। এসব তত্ত্ব কথা বলার পরই প্রধানমন্ত্রী যেন ভবিষ্যৎবাণী করে দিলেন। তিনি যা বলেছেন, তা বেশ মজারও আবার তাৎপর্যপূর্ণ।

বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি ইসরোর সদর দপ্তরে যোগ দিয়েছিলেন চন্দ্রযানের অবতরণ দেখতে।

সেখান থেকেই তিনি বলেছিলেন, চন্দামামা দূর কি হ্যায়, একদিন আয়গা যব বাচ্চা বোলেগা চন্দামামা ট্যুর কি হ্যায় ’অর্থাৎ পৃথিবীকে আমরা ‘মা’ বলি, চাঁদকে আমরা ‘মামা’ বলি। একটা সময় বলা হতো চাঁদমামা অনেক দূরে। কিন্তু আমি নিশ্চিত ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলবে, চাঁদমামা মাত্র একটি ট্যুর দূরে।

কথাটা তিনি বলেছিলেন রসিকতার সুরেই। কিন্তু তাতে কি ভবিষ্যৎ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির? ট্যুর অর্থাৎ পর্যটনের ভবিষ্যদ্বাণী দিয়ে রাখলেন প্রধানমন্ত্রী? তা নিয়ে ভারতে শুরু হয়েছে জল্পনা। আগামী দিনে কি মুন ট্যুরিজমের কথা ভাবছেন? কারণ, তিনি বলেছেন, আমার বিশ্বাস আগামী প্রজন্ম চাঁদে পর্যটনের স্বপ্ন দেখবে। সেটা কি কোনো কথার কথা, নাকি সত্যিই ইসরোর পরিকল্পনা?

ইসরোর বক্তব্য শুনে ধারণা করা হচ্ছে, আসলে চাঁদের মাটিতে পা রাখার মধ্য দিয়েই থেমে থাকতে চায় না তারা। যন্ত্র যদি বিকল হয় তা আবার পৃথিবীতে এনে মেরামত করে ফের পাঠানো পরিকল্পনা। স্টেশন তৈরি করে সেখান থেকেই আরও গভীর মহাকাশে কোনো যান পাঠানো! যদি সত্যিই চাঁদ থেকে এভাবে আসা-যাওয়া করা যায়। তাহলে একটা সময় মানুষের চন্দ্র পর্যটন সাধ্যের মধ্যে থাকতেই পারে! তাই কী মোদির রসিকতা? আসলে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারত আরও আরও এগিয়ে যাক। এটাই চাইছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদি।

বুধবার (২৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী যেমন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও বলছেন, তেমন ইংরেজিতে বলেছেন, ভারতের এই সাফল্য অন্য দেশের চন্দ্রাভিযানেও ভবিষ্যতে সাহায্য করবে। এবার আমরা সীমাহীনকে ছোঁয়ার জন্য আশাবাদী হতে পারি। ভারত প্রমাণ করল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোও পারে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন এরপর আদিত্য এল ওয়ান লঞ্চ করবে ইসরো। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য শুক্রগ্রহ। আর আছে গগনযান মিশন। এর মাধ্যমে ভারত প্রথমবার মহাকাশে মানুষ পাঠাবে।

এর আগে ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২ মিশন পাঠিয়েছিল ভারত, তবে তা ব্যর্থ হয়। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো বলেছে, কোনো সমস্যা ছাড়াই যানটি সফলভাবে অবতরণ করবে। চন্দ্রযান-২ এর মিশনের ব্যর্থতা থেকে তারা শিক্ষা নিয়ে এ চন্দ্রযান-৩ পাঠাল।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০২৩
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।