ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

পিকে হালদারদের ফের আদালতে তোলা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
পিকে হালদারদের ফের আদালতে তোলা হবে ৪ ফেব্রুয়ারি

কলকাতা: বাংলাদেশের অর্থ পাচারকারী প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার সহযোগীদের আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ফের আদালতে তোলা হবে। কলকাতার নগর দায়রা আদালতের সিবিআই স্পেশাল কক্ষ-৩’র বিচারক শুভেন্দু সাহা এ আদেশ দিয়েছেন।

ভারতীয় আইন রক্ষাকারী বাহিনীর (ইডি) হাতে গ্রেফতার এ আসামিদের শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) আদালতে তোলা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ৮ ডিসেম্বর পিকে হালদার ও গংদের আদালতে তোলা হয়েছিল।

জানা গেছে, শুক্রবার পিকে হালদারদের আদালতে তোলার পর তাদের সহযোগী প্রাণেশ কুমার হালদারের পক্ষে নতুন করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী বিশ্বজিত মান্না। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে জামিন দেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে।

আদালতের নতুন নির্দেশে পিকে হালদারদের মামলা নতুন মোড় নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, প্রাণেশের পক্ষে মামলা লড়তে যুক্ত হচ্ছেন ভারতের বিখ্যাত আইনজীবী মিলন মুখার্জী। প্রচলিত আছে, মিলনের পারিশ্রমিক বিশেষ ব্যক্তি, তারকা ছাড়া সাধারণের জন্য দেওয়া খুবই কঠিন।

এদিন মামলার শুনানির শেষে নতুন দিন ধার্য করার পর আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা বলেন, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি দীর্ঘ সময় নেবে। প্রায় ৩/৪ ঘণ্টা লাগতে পারে। ততক্ষণ কি আসামিদের প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রর মতো দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত হবে? অভিযুক্তদের সেদিন আদালতের আনার কি খুব প্রয়োজন আছে?

এ সময় আসামিদের আইনজীবীরা কিছু বলতে না পারলেও কাঠগড়ায় দাঁড়ানো পিকে হালদার বলেন, আমরা শুনানি শুনতে চাই। পরে বিচারক তাদের আদালতে তোলার নির্দেশ দেন।

আইনজীবী মিলন মুখার্জী আসামি প্রাণেশের পক্ষে মামলা লড়ার খবর চাউর হওয়ার পর তাদের আত্মবিশ্বাসী হতে দেখা গেছে। অন্যান্য আইনজীবীরা বলছেন, প্রাণেশের জামিন পেতে কোনো সমস্যা হবে না। তা-ই যদি হয়, অন্যান্য আসামিরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন। কেননা, পিকে হালদারদের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্থ পাচার ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে। পিকে বাংলাদেশি প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে ফরটিন ফরেনার্স অ্যাক্ট দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর পিকে হাওলাদারদের আদালতে তোলার পর জানা যায়, তাদের মামলা দীর্ঘায়ত করতে চায় না ভারত। তাই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে নতুন করে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেয়নি ইডি। সরকার চাইছে না, ভারতীয় আইন অনুযায়ী মামলার নিষ্পত্তি হোক। চলতি বছরে আসামিদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলেও শোনা গিয়েছিল। এটি হতে পারে বাংলাদেশ-ভারতের বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী।

অবৈধ অর্থ পাচার ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলার আসামিরা জামিন পেলে সেটি ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পাবেন। এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকে, জামিনের পর আসামিদের বাংলাদেশে পাঠানো সম্ভব হবে কিনা। এ ব্যাপারে প্রাণেশ কুমার হালদারদের আইনজীবী বিশ্বজিত মান্না বলেন, যে মামলা দেওয়া হয়েছে তাতে বিচারককে হয় জামিন দিতে হবে; না হয় সর্বোচ্চ ৭ বছরের জেল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
ভিএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।