ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

মোদির হাতে বঙ্গে ট্রেন উদ্বোধন, চাওয়ালা সাজবে বিজেপি কর্মীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
মোদির হাতে বঙ্গে ট্রেন উদ্বোধন, চাওয়ালা সাজবে বিজেপি কর্মীরা

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রথম চালু হবে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। ভারতের সবচেয়ে দ্রুতগামী ট্রেনটি চলবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি।

মাঝে যাত্রা বিরতি ফারাক্কা ও মালদা। ট্রেনের উদ্বোধন করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। থাকবেন রাজ্যের বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরা।  

সরকারি অনুষ্ঠান হওয়ায় রাজনৈতিক কর্মসূচি না নিলেও রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে রাজ্য বিজেপি। তারমধ্যে বিজেপির চমক- স্টেশনে স্টেশনে মোদির মুখোশ পরে চা বিক্রি করবে কর্মীরা।  

প্রসঙ্গত, একসময় মাটির ভাড়ে করে স্টেশনে চা বেচতেন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অতীতে যে গুজরাটের ভাবনগর স্টেশনে চা বিক্রি করতেন, যা নিজেই একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন। তা স্মরণ রেখে করে মোদির মুখোশ পরে চা বিক্রি করবে বিজেপি কর্মীরা।

বিজেপির তরফে জানা গেছে, একাধিক স্টেশনে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ থামানোর আবদার করেছিল তারা। উদ্বোধনী ট্রেন হওয়ায় একপ্রস্থ সম্মতি দিয়েছে রেল মন্ত্রণালয়। ট্রেন যেখানে যেখানে থামবে সেসব স্টেশনে ‘নমো টি স্টল’ অর্থাৎ ‘নরেন্দ্র মোদির টি স্টল’ থেকে মোদির মুখোশ পড়ে চা বিক্রি করবেন কর্মীরা। তবে সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয়েছে মালদাহ টাউন স্টেশনে। সেখানে চা-বেচা ছাড়া একাধিক কর্মসূচি আছে তাদের। তা নিয়ে ইতোমধ্যে মমতার প্রশাসনের কাছে অনুমতি নেওয়া সেড়ে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি। অর্থাৎ, রেল স্টেশন, চা এবং মোদি -এই তিনের একত্রে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের প্রথম যাত্রা মধ্যদিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছেন মোদিবাহিনী।

রেলের তরফে বলা হয়েছে, হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে দ্রুতগামী ট্রেনের সময় লাগার কথা সাড়ে ৭ ঘণ্টার মতো। কিন্তু উদ্বোধনের দিন সেই সময় ১৭ ঘণ্টাও হয়ে যেতে পারে। এমনই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে রাজ্য বিজেপির আব্দারে। কারণ, দ্রুতগামী ট্রেনটি প্রথম দিন থমকে থমকে চলবে। যদিও উদ্বোধনী ট্রেনে যাত্রী থাকবে না। তাই খুব একটা আপত্তি দেখাইনি রেল দফতর। অপরদিকে, হাওড়া স্টেশনে থেকে উদ্বোধন পর্ব সেড়ে সেখান থেকে অন্যকর্মসূচিতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

যদিও রেলের তরফে বলা হয়েছে, উদ্বোধনী ট্রেনে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থাকবে না। ট্রেনের ভেতরে কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেওয়া যাবে না, যা করার প্ল্যাটফর্ম বা স্টেশনের বাইরে। তাতেও আপত্তি নেই বলের সম্মতি দিয়েছে বিজেপি। রাজ্য বিজেপি মনে করছে, এই ট্রেন পেয়ে লাভবান হবে রাজ্যের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর মানুষদের। তবে সবচেয়ে বেশি লাভ হবে মালদহ জেলার। মূলত, মালদহ টাউন স্টেশনকে ব্যবহার করেন দুই দিনাজপুরের বাসিন্দারা।

এতদিন ভোরে কলকাতা থেকে কেউ রওনা দিয়ে বেলা গড়ানোর আগে মালদহ পৌঁছনোর কোনও ট্রেন ছিল না। আবার বিকেলের দিকে মালদহ থেকে রাতের মধ্যে কলকাতায় ফেরার ট্রেনও ছিল না। রাতের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হতো। সেই খামতি পূরণ করবে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মুলত, ২০১৯ সালের নির্বাচন থেকে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো করে আসছে। তবে সেবার নির্বাচনে খুব অল্প ভোটের ব্যবধানে দক্ষিণ মালদহ আসনে হেরেছিল বিজেপি। স্বভাবতই বিজেপি মনে করছে, দ্রুতগামী ট্রেনে কিছুটা হলেও যেন সুবিধা করে দেবে তাদের। তাই আগামীকাল উত্তরবঙ্গ-সহ মালদহের সংগঠনকে বেশি করে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য বিজেপি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২২
ভিএস/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।