চট্টগ্রাম: বালু তুলতে বাধা দেওয়ায় সীতাকুণ্ডে এক জেলেকে পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়ার তিনদিনেও উদ্ধার করা যায়নি। সাগর পাড়ে অপেক্ষায় আছেন ঘটনার শিকার রাম জলদাসের (৩২) মা ও স্ত্রী-সন্তানরা।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ উপকূলীয় এলাকায় এ ঘটনায় আরেক জেলেকে অপহরণ ও তাদের নৌকা সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ মাহমুদাবাদ জেলে পাড়ার মৃত শীতল জলদাসের পুত্র রাম জলদাস।
বালুখেকোদের হাতে অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া লিটন জলদাস বলেন, ওরা আমার বড় ভাইকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেয়। আমাকে অপহরণ করে হাতিয়া নিয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে। ভাইকে সাগরে ফেলে দেওয়ার পর তিনদিন হতে চললো, এখনো উদ্ধার করতে পারেনি। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধার তৎপরতা চলছে দায়সারাভাবে।
তিনি বলেন, ‘সাগরে কেউ নিখোঁজ হলে সাথে সাথে সরকারিভাবে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলসহ একাধিক টিম কাজ করে। আমার ভাইয়ের ক্ষেত্রে কুমিরা নৌ পুলিশ ছাড়া কোনও উদ্ধারকারী দল দেখিনি। আমরা স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সাগর উপকূলে ঘুরছি।
এদিকে অবৈধভাবে ড্রেজার-বাল্কহেড দিয়ে বালু উত্তোলনকারী চক্রের ৬ জন এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয়রা। পরে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাম জলদাসের স্ত্রী কনিকা জলদাসের দায়ের করা হত্যা ও অপহরণের মামলায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান কুমিরা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. ওয়ালি উদ্দিন আকবর।
তিনি বলেন, সীতাকুণ্ড থানায় মামলা পরবর্তী আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাম জলদাসকে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নৌকা নিয়ে সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাছ ধরতে গেলে জেলেদের বাধা দেয় বালুখেকোরা। প্রতিবাদ করলে তারা জেলেদের পেটায় এবং এক পর্যায়ে রাম জলদাসকে সাগরে ফেলে দেয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
এসি/টিসি