ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রবাসের আরাম ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করতে চাই: মনোয়ার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
প্রবাসের আরাম ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করতে চাই: মনোয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ‘আমি প্রবাসে আমার সব আরাম আয়েশ ত্যাগ করে দেশের জন্য নিজেকে নিবেদিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জাতীয় অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রামকে পরিকল্পিতভাবে উন্নত দেখতে চাই, তরুণ প্রজন্মের কাছে আমরা সুন্দর চট্টগ্রাম উপহার দিতে চাই, যাতে করে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দেশে থাকুক আর বিদেশে থাকুক সবাই যেন আশান্বিত হয় এবং বাংলাদেশের প্রতি আরো ভালোবাসা সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন শনিবার (১১ মার্চ) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।  

সাবেক ছাত্রনেতা, চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, একাধিকবার জেল জলুম খেটে নয় বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ৮০ দশকের শেষের দিকে আর ৯০ দশকের প্রথম দিকে চট্টগ্রাম উন্নয়নের আন্দোলন গড়ে তুলে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলাম।

দলমতনির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ১৫ দফার ভিত্তিতে গড়ে তোলা সেসময়ের অবহেলিত চট্টগ্রামের উন্নয়ন আন্দোলনকে মোটামুটি সফল করে আমি পরবর্তীতে অর্থনৈতিক তাগিদে  ও আইন বিষয়ে উচ্চশিক্ষার্থে বিলেতে যাই এবং একজন সফল প্র্যাকটিসিং ব্যরিস্টার হিসেবে নিজেকে সেখানে প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কার্যক্রমে নিজেকে যুক্ত করি। তবে দেশের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রেখেছি, চট্টগ্রাম ও ঢাকায় আমার পেশাগত শাখা অফিস রেখে সেবা দিয়েছি। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের বিভিন্ন বাংলাদেশি কমিউনিটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকেছি, সফলভাবে ইউরোপে বাংলাদেশিদের অন্যতম বৃহত্তর চট্টগ্রাম অ্যাসোসিয়েশন ইউকে প্রতিষ্ঠিত করেছি এবং এর মাধ্যমে ও আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে হাজার হাজার হতদরিদ্রের জন্য খাদ্য সাহায্য আমরা পাঠিয়েছি।  

নতুন করে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে কিন্তু এটি হলো না কেন তা একটি বড় প্রশ্ন, অথচ ১৯৯০ সালে আমি বোয়ালখালীতে উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটি করে সেতুটি নতুন ভাবে আধুনিক মানের রেল-সড়ক সেতু করার দাবি তুলেছিলাম, পরবর্তীতে বর্তমান সরকার আমলে এই দাবিটি পুনরায় উচ্চারিত হয়। গত বছর নভেম্বরে সরকার মুদ্রাস্ফীতির কারণে অনেক প্রকল্প অগ্রাধিকার থেকে বাদ দিতে শুরু করলে আমি নাগরিক ফোরামের ব্যানারে গণ-অনশন আহ্বান করে নতুন কালুরঘাট সেতুকে সেই বাতিলের অন্তর্ভুক্তি থেকে রক্ষা করি এবং গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের জনসভায় এই ইস্যুটি প্রাধান্য পায়, এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কম সময়ের জন্য উপনির্বাচনে এলাকার সংসদ সদস্য হতে পারলে আমি এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করব ।

তিনি দুঃখ করে বলেন, চট্টগ্রাম ৮ আসন এলাকাটি মনে হয় বাংলাদেশের একটি পিছিয়ে পড়া এলাকা, যেখানে উন্নয়নের বিশাল কর্মযজ্ঞ কখনো চোখে পড়েনি, অথচ জরাজীর্ণ কালুঘাট সেতু আর এলাকার জরাজীর্ণতা কোনোটি স্মার্ট বাংলাদেশের সঙ্গে মানানসই নয়। এখানে আমি কঠোর পরিশ্রম করে ও আমার মেধা দিয়ে এবং পৃথিবীর চল্লিশটির বেশি দেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার আলোকে চট্টগ্রাম  ৮ আসন এলাকার সার্বিক চেহারা পাল্টে দিতে সক্ষম হব বলে আমার বিশ্বাস রয়েছে ।

নগরের নাসিরাবাদের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের ভাইস চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খালেদ, সিনিয়র সাংবাদিক জসিম উদ্দিন চৌধুরী সবুজ, মঞ্জুরুল আলম, মুস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রুবেল খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, লেখক শওকত বাঙালি, নাগরিক ফোরামের মীর্জা ইমতিয়াজ শাওন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।