ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়তে মেধাবীদের ধরে রাখতে হবে: ড. সত্য প্রসাদ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়তে মেধাবীদের ধরে রাখতে হবে: ড. সত্য প্রসাদ

চট্টগ্রাম: বুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেছেন, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে বিশ্বের নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ফলে মেধাবীরা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে বাইর থেকে সফটওয়্যার আমদানি করছি যা আমাদের ছাত্ররাই বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হয়ে তৈরি করছে।

তাই আগামীর স্মার্ট ও প্রযুক্তিনির্ভর দেশ গড়তে হলে এদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য গবেষণা ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমরা যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছি।
  

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), দ্য চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং  বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্সের (বিসিই) মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ। সমঝোতা স্মারকে বুয়েটের পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চিটাগাং চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বিসিইর পক্ষে ট্রেজারার সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষর করেন।  

অনুষ্ঠানে চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এমএ রশিদ, চেম্বার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, পিএইচপি মোটরসের এমডি মো. আক্তার পারভেজ বক্তব্য দেন। বুয়েটের গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার বুয়েটের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এমএ লতিফ বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী এবং একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করেন। ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষা, প্রকৌশল ও শিল্প খাতকে একীভূত করা প্রয়োজন। দেশের মেধা পাচাররোধে মোটিভেশনাল কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণামূলক কার্যক্রমের সুযোগ বাড়াতে হবে।  

চেম্বার সভাপতি বলেন, ১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া এবং দেশের অবকাঠামো খাতে যে বিশাল বিনিয়োগ তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে আমাদের রপ্তানি সূচক আরও বাড়াতে হবে যা কেবল পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে রপ্তানি ঝুড়িকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সম্ভব। এক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা এবং প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন।  

বুয়েট চিটাগাং চেম্বারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে চট্টগ্রামের বেসরকারি খাতগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মানানসই নতুন উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে চেম্বার সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মূল্য লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।