ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এই উমর আকমলই একসময় তার সতীর্থকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন!

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২০
এই উমর আকমলই একসময় তার সতীর্থকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন!

মনে পড়ে পাকিস্তানের সম্ভাবনাময় উইকেটরক্ষ-ব্যাটসম্যান জুলকারনাইন হায়দারের কথা। ২০১০ সালে জাতীয় দলে দারুণ অভিষেকের পর হঠাৎই কাউকে কিছু না বলে খেলা ছেড়ে দেন। সেই জুলকারনাইন-ই এবার এক ভয়ংকর সত্য জানালেন। কদিন আগেই ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় ক্রিকেট থেকে ৩ বছর নিষিদ্ধ হওয়া উমর আকমল একসময় তাকে ফিক্সিংয়ের জন্য চাপ দিয়েছিলেন। আর সে কারণেই মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে কাউকে কিছু না বলে দল ত্যাগ করে লন্ডনে চলে গিয়েছিলেন!

২০১০ সালে দুবাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটেছিল। যেখানে ম্যাচ ছেড়ে দিতে জুলকারনাইনকে চাপ দিয়েছিলেন উমর।

এক সাক্ষাৎকারে জুলকারনাইন বলেন, ‘আমার মনে পড়ে তাকে বলেছিলাম তুমি তোমার কাজ করো ও পানি টানো। কিন্তু পরে সে ও আরও কয়েকজন মিলে আমাকে ম্যাচ ছেড়ে দিতে মানসিকভাবে চাপ দেয়। পরে আমি কাউকে কিছু না বলে লন্ডনে চলে যাই। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সে কুখ্যাত সব লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার আজীবন নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্য এবং তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা উচিৎ। ’

৩৪ বছর বয়সী জুলকারনাইন সে সময় দুবাই ছেড়ে লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। অথচ অভিষেক ও একমাত্র টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বার্মিহামে ২০১০ সালে দলের খারাপ অবস্থাতেও এক ইনিংসে ৮৮ করেছিলেন। যেখানে সেই টেস্টে কামরান আকমলের জায়গায় তাকে নেওয়া হয়েছিল।

‘সেই হুমকি ও চাপ আমার জন্য খবুই যন্ত্রনাদায়ক ছিল। আমি ম্যাচে খারাপ খেলতে অপরিচিত আরও একজন আমাকে হুমকি দিয়েছিল। ’

জুলকারনাইন পরবর্তীতে ২০১১ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিকের নিশ্চয়তায় দেশে ফিরেছিলেন। তবে তিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার আর গড়তে পারেননি। কিন্তু সেসময়কার পাকিস্তান দলের ম্যানেজার ইন্তিখাব আলম জানিয়েছিলেন, মানসিক অসুস্থতার কারণে জুলকারনাইন দল ত্যাগ করে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০২০
এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।