ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

'উমর আকমল নিজের ক্যারিয়ার নিজেই ধ্বংস করেছে'

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
'উমর আকমল নিজের ক্যারিয়ার নিজেই ধ্বংস করেছে' উমর আকমল ও শোয়েব আখতার/ছবি: সংগৃহীত

ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত অপরাধের কারণে উমর আকমলকে সবধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ডিসিপ্লিনারি প্যানেল। এই সিদ্ধান্ত উমর আকমলের ক্যারিয়ারে যতি টেনে দিল বলেই মনে করছেন অনেকে। একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটারের এমন পরিণতির জন্য দায়ী কে? 

পাকিস্তানের সাবেক ফাস্ট বোলার শোয়েব আখতার মনে করেন, উমর আকমল তার নিজের ক্যারিয়ার নিজেই ধ্বংস করেছেন। তবে এজন্য পিসিবিকেও পরোক্ষভাবে দায়ী করেছেন 'রাওয়ালপিন্ডি একপ্রেস'।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব আখতার এমন কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে বেশিরভাগ সময় উমর আকমলের বিতর্কে জড়ানোর কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

শোয়েব আখতার বলেন, ‘প্রতি ৬মাস পর পর সে (উমর) কোনো না কোনো বিতর্কে জড়ায় এবং ধরা খায়। এভাবেই চলতে থাকে। সে ভুল পথেই বারবার হেঁটেছে। শেষ ৮-১০ বছরে কোহলি যদি ৩০-৪০টি সেঞ্চুরি করে তবে উমরের সেঞ্চুরি সংখ্যা তার (কোহলি) কাছাকাছি থাকতো, কমপক্ষে ৩টি সেঞ্চুরি কম থাকতো, এটা শুধুমাত্র উমরের দোষ। সে নিজের ক্যারিয়ার নিজেই ধ্বংস করেছে। ’

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের বিষয়টি পিসিবি সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারায় পিসিবির আইন বিভাগকে নিয়েও সমালোচনায় মেতেছেন শোয়েব, ‘উমরের শাস্তি কি ন্যায়সঙ্গত? আমি আপনাকে বলি, পিসিবির আইন বিভাগ সম্পূর্ণরূপে অকেজো এবং অযোগ্য। বিশেষত ফজল রিজভী, কোথা থেকে এসেছেন তা আমি জানি না। গত ১০-১৫ বছর ধরে তিনি পিসিবির সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই যুক্ত রয়েছেন। এমন একটি মামলা নেই যে সে হারেনি। ’

তিনি আরও বলেন ‘পিসিবি যখন পাকিস্তান সুপার লিগের জন্য অনলাইন বাজি ধরাকে বৈধ করে তুলেছিল, তখন পিসিবি কী ভাবছিল? আমাদের আইন ও সংবিধান যেখানে বাজি ধরতে দেয় না সেখানে পিসিবি কীভাবে এই বিষয়টিকে বিবেচনা করে? পিসিবি একটি বিশাল ভুল করেছে এবং আমাদের সংবিধানকে অপমান করেছে। অনলাইনে বাজিকে অনুমতি দেওয়ায় পিসিবি ইসলামকেও অপমান করেছে। পিসিবি কর্তৃক অনুমোদিত এই চুক্তি সম্পর্কে কেউ জানতো না। আমরা এই সম্পর্কে জানতাম না, পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিও এটি জানতো না। ’

ফিক্সিং আইনের সমালোচনা করে শোয়েব বলেন, ‘আমি জানতে চাই, কেন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ক্ষেত্রে এমন কোনও আইন পাস হচ্ছে না, যেখানে কোনও ক্রিকেটার দোষী সাব্যস্ত হলে তার কমপক্ষে ১০ বছর জেল হবে, শ্রীলঙ্কায় যেটা রয়েছে। যদি এই আইনটি পাস হয় তবে কেউ আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ করার সাহস করবে না। এটি ১৯৯৫ থেকে শুরু হয়েছিল, এখন ২০২০ সাল, ক্রিকেটাররা এখনও ফিক্সিংয়ের মতো অপরাধ করছে। পিসিবির আইন বিভাগের অযোগ্যতা ও অক্ষমতার কারণে এমনটা হচ্ছে। ’

এদিকে ভারতের ক্রিকেট বিশ্লেষক হার্শা ভোগলে আকমলের এই শাস্তিকে ভালো একজন প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানের অপচয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এসময় তিনি বাংলাদেশের আশরাফুলের কথাও মনে করেন। দুজনকে নিয়েই ভীষণ আক্ষেপ প্রকাশ করেন হার্শা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।